বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্মার্ট প্রযুক্তির স্মার্ট ব্যবহার

শেখ আনোয়ার

১৩:১৯, ৩১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৩:২০, ৩১ মার্চ ২০২৩

৭০০

স্মার্ট প্রযুক্তির স্মার্ট ব্যবহার

আসছে স্মার্ট বাংলাদেশ। এখনই ডিজিটাল গেজেটে সয়লাব গোটা দেশ। দেশেই তৈরি হচ্ছে বিদেশের স্মার্ট ফোন। দিন দিন বাড়ছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন ও কম্পিউটারের নানামুখী ব্যবহার। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে এর ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা। করোনাকালে এই ডিজিটাল গেজেট কত বড় কাজে লেগেছে তা বাংলার মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। 

এখন আমাদের অফিস কিংবা ব্যাক্তিগত কাজের জন্য কিংবা বিনোদনের জন্য এসব যন্ত্রের সামনে, কম্পিউটারের সামনে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। আর সঠিক উপায়ে বসে কাজ না করার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার সন্মূখীন হচ্ছি। ঘাড়ের ব্যাথা, মাথার ব্যাথা, চোখে পানি আসা কত কী! আবার অল্প সময় ধরে চেয়ারে সঠিক উ” চতা এবং হাতের সঠিক লেভেল সমতল বজায় রেখে কাজ না করলেও যন্ত্রণা হচ্ছে। সুতরাং সুস্থভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করার জন্য আমাদের কিছু পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 

কখনই কব্জি উচিয়ে কাজ করা যাবে না। কব্জি এবং হাতের আঙ্গুল একই সমতলে রেখে কাজ করতে হবে। তা না হলে অল্প কিছুক্ষণ টাইপ করার পর হাতের কব্জি ধরে আসবে অথবা ব্যাথা করবে। মনিটর এবং কিবোর্ড একই ডেস্কের ওপর রেখে কাজ করা ঠিক নয়। কী বোর্ড রাখার জন্য একটি রিস্ট প্যাড ব্যবহার করতে হবে। যা ডেস্কের নিচে ডেস্কের সমান্তরাল অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন মাফিক সামনে পিছনে ঠেলে দূরত্ব ঠিক করে নেওয়া যাবে। কম্পিউটার ব্যবাহার কারীর সিটের আসনের উচ্চতা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে হবে। যাতে ব্যবহারকারীর হাত ঘরের মেঝের সমান্তরালে থাকে এবং হাতটি যাতে দেহের সঙ্গে নব্বই ডিগ্রি কোণ  উৎপন্ন করে। ব্যবহারকারীর হাত, কব্জি এবং আঙ্গুল একই সমতলে সমতলভাবে রেখে কাজ করতে হবে। তাহলে দীর্ঘসময় ধরে হাতের যন্ত্রণা এড়িেেয় কাজ করা সম্ভব হবে।

আজকাল চোখের বিভিন্ন সমস্যা এড়িয়ে কাজ করার জন্য প্রতি এক ঘন্টা কাজের পর পনের মিনিট বিরতি দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন প্রায় সব চিকিৎসক। এই পনের মিনিট সময়ে সিট থেকে উঠে হাঁটাচলা করা উচিত। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। কম্পিউটারের পর্দার ব্যবহার ও চোখের মধ্যবর্তী দূরত্ব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা মধ্যবর্তী দূরত্ব সঠিক না হলে ব্যবহারকারীর চোখের ক্ষতি হতে পারে। তেমনি মনিটর এবং ব্যবহারকারীর চোখের দৃষ্টির মধ্যে সৃষ্ট কোণও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের সময় বাঁচাতে পারে, তেমনি বাড়াতে পারে কর্মদক্ষতাও। তাই নিজের পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরি। 

আর হ্যাঁ, কম্পিউটার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সিটটিকে এমনভাবে সামনে বা পিছনে নিয়ে এডজাস্ট করতে হবে। যাতে মনিটর থেকে চোখের দূরত্ব অন্তত: দু’ ফুটের বেশি হয়। বিশেষজ্ঞের মতে, ব্যবহারকারীর মুখ মনিটরের পর্দার সঙ্গে দেড়’শ ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করতে হবে। এভাবে কোণ তৈরি করে কাজ করলে ব্যবহারকারীর চোখের ক্ষতি সবচেয়ে কম হয়ে থাকে।

বর্তমানের ডিজিটাল যুগে আমাদের জীবনের অধিকাংশ কাজ চলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে। তাই সঠিক উপায়ে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার আপনার জীবনকে করে তুলতে পারে আরও সহজ।

শেখ আনোয়ার: বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক। এম.ফিল স্কলার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank