বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ || ৪ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুলে গেলো উগান্ডার শিক্ষার্থীরা

সাতরং ডেস্ক

১৯:৫২, ১০ জানুয়ারি ২০২২

৯৩৫

দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুলে গেলো উগান্ডার শিক্ষার্থীরা

কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশিদিন বন্ধ ছিল উগান্ডার বিদ্যালয়গুলো। অবশেষে ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর খোলা হলো এগুলো।

এতদিন বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার।

এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুবই সীমিত আকারে ক্লাস খুললেও জুন মাসে পুরোপুরি লকডাউনে চলে যায় উগান্ডা। দেশটির বেশিরভাগ বিদ্যালয়েরই অনলাইনে পাঠদানের সক্ষমতা ছিল না।

নভেম্বর মাসে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দেশটির একটি শহরে শ্রেণীকক্ষগুলোতে গাঁজার চারাগাছ জন্মে গেছে। এতদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই সোনার খনির শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেছে।

দেশটির সরকার সেই সময় জানিয়েছিল, শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মা-বাবাও আক্রান্ত হবে, তাই স্কুল খোলা ঠিক হবে না। তবে এখন স্কুল খোলার আর কোনো বিকল্প দেখছেন না অভিভাবকেরা। তাদের মতে করোনার ভয়ে এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখলে তা-তে তাদের সন্তানদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।

সেইভ দ্য চিলড্রেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, পড়ালেখার সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী এখন ঝরে পড়তে পারে। অনেকের পক্ষে লেখাপড়ার গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা কষ্টকর হবে।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তার ফলে কতদিন স্কুলগুলো খোলা থাকর তা-ও দেখার বিষয়। ডিসেম্বরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণের হার উগান্ডায় এখন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভিনি জানিয়েছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো (আইসিইউ) ৫০ শতাংশ দখল হয়ে গেলে আবারও দেশটিতে লকডাউন দেওয়া হবে।

উগান্ডা স্কুল খোলার জন্য বিদেশি সহায়তা পেয়েছে। স্কুলগুলোতে কারিকুলামও ছোট করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অটো-প্রমোশন দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে নাস্তানাবুদ হওয়া দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত আর সব দেশের মতো উগান্ডাও কীভাবে তাদের শিশু-কিশোর ও যুবসমাজের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আসা এ ধাক্কা সামলায় তা এখন দেখার বিষয়।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডট আইই অবলম্বনে

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank