ইউএসএইড’র তহবিল বন্ধের কারণে চাকরি হারিয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ
ইউএসএইড’র তহবিল বন্ধের কারণে চাকরি হারিয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ
![]() |
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা আদেশের ফলে বাংলাদেশে ইউএসএইড-এর অর্থায়নে পরিচালিত ৫৯টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৫টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ হাজার বাংলাদেশি চাকরি হারিয়েছেন যাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত এবং মেধাবি। এই সংকট নিরসনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ আনএমপ্লয়মেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনালস (অডিপ)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবি বাস্তবায়নে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরেন অডিপ আহ্বায়ক জিনাত আরা আফরোজ। দাবিনামায় তিনি বলেন, আমেরিকান সরকারের উন্নয়ন সহায়তা সংকোচনে উন্নয়ন খাতে সৃষ্ট তীব্র বেকারত্বের আনুষ্ঠনিক স্বীকৃতি দিতে হবে। উন্নয়ন খাতের বেকার কর্মীদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণের জন্য জরিপ পরিচালনা ও দ্রুত তার ফল প্রকাশ করতে হবে। বেকারত্বের অর্থনৈতিক প্রভাব নিরূপন করতে হবে।
আয়কর আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে ২০২৪- ২০২৫ অর্থবছরে চাকুরি হারানো উন্নয়ন কর্মীদের উৎসে কেটে রাখা আয়কর ফেরত দিতে হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য আয়কর অগ্রীম মওকুফ করতে হবে। উন্নয়ন পেশাজীবিদের জন্য বেসরকারি খাত, কর্পোরেট খাত এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে জাতীয় সমন্বিত মেধা সংরক্ষণ কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে। সমস্যা সমাধানে অতিদ্রুত বাংলাদেশের চাকুরি হারানো উন্নয়ন কর্মীদের সাথে অডিপের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে হবে।
অডিপ আহ্বায়ক জিনাত আরা আফরোজ বলেন, স্টপওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ইউএসএইড’র সকল প্রকল্পে (শুধুমাত্র জরুরি খাদ্য ও মানবিক সহায়তা খাতের কিছু প্রকল্প বাদে) স্থগিতাদেশ জারি করেন।
স্থগিতাদেশ জারির পর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চাকরি হারান উন্নয়ন খাতে বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক এনজিওতে কর্মরত হাজার হাজার উন্নয়ন কর্মী। ২০২৫ সালের এপ্রিল পরবর্তী সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ইউএসইড’র ৫৯টি প্রকল্প চালু ছিলো। এরমধ্যে ৫৫টি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নয়ন সহায়তা হারিয়েছে। আইসিডিডিআরবি এক হাজার ৫০০ জন কর্মী ছাঁটাই করে। ব্র্যাকের বাংলাদেশ আমেরিকা-মৈত্রী প্রকল্পে চাকরি হারান ৫৩০ জন। কেয়ারের কমিউনিটি হেলথ ও নিউট্রিশন প্রকল্প থেকে চাকরি হারান ৫১০ জন।
তিনি জানান, ইউএসএইড’র প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে তীব্র আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন ছোট বড় বিভিন্ন আইএনজিও ও লোকাল এনজিও। তাদের ব্যয় সংকোচন এবং পূর্নগঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চাকরি হারান সংগঠনের মূল অংশের অন্তত ১০ হাজার কর্মী যারা ইউএসইড’র প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। একই প্রভাবের ফলে আগামী জুন মাসের চাকুরি হারাবেন আরো কয়েক হাজার উন্নয়ন কর্মী। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ সব মিলে চাকরি হারানো উন্নয়ন কর্মীদের এই সংখ্যা ৫০ হাজার বা তার অধিক হতে পারে বলে অডিপের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অডিপ আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা উন্নয়নকর্মীরা সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন মানোন্নয়নে কাজ করেছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, সুশাসন, দক্ষতা উন্নোয়নসহ নানা প্রকল্পগুলোর সেনানী হয়ে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছি বছরের বছর। আজ আমরা কর্মহীন, জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। আমরা আমাদের পরিবার পরিজন সন্তান-সন্ততিসহ এক নিদারুণ অনিশ্চয়তার পথে এগোচ্ছি। এই সংকট সমাধানে আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আরও পড়ুন
- মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- স্বর্ণের দাম আবার কমলো
- অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত - কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রোববার
- টানা ২য়বারের মত ‘৫ম এমারজিং এশিয়া ইনসিওরেন্স এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- মেট্রোরেলের ৪ স্টেশন বন্ধ
- ছারছীনা দরবার শরীফের পীরের মৃত্যু
- টিএসসিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী