শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩৪

খ ম হারূন

১২:৩১, ২৬ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ১৮:০৪, ২ অক্টোবর ২০২১

৩০৩১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩৪

শঙ্কিত পদযাত্রা

ধারাবাহিক আত্মকথা

। খ ম হারূন ।

খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।

 

[পর্ব-৩৪]

২০০৫ ছিলো আমার পেশার পট পরিবর্তনের বছর। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যখন যোগদান করি তখন হিসাব করে দেখেছিলাম আমি আরো বত্রিশ বছর এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবো। যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলাম আমি কাজের ক্ষেত্রে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করেও কোনো ক্লান্তি অনুভব করতাম না। অনুষ্ঠান প্রযোজনার পাশাপাশি আরও কিছু দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, সেগুলো আমার লেখায় বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে নিজ পরিকল্পনা মতো কাজ করতাম। কারো হাতে ছাড়তাম না। যার ফলে আমার অনুষ্ঠানে কোনো গোঁজামিল দেবার সুযোগ ছিলো না। অল্প সময়ে আমার নামটি যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করে। এর মাঝেই মঞ্চ নাটকের সাথেও আমার যোগাযোগ এবং নির্দেশনার দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছিলাম। যদিও মনে করি মঞ্চে আমি আরও অনেক কাজ করতে পারতাম যদি টেলিভিশনে কাজের মাত্রা কিছু কমিয়ে দেয়া সম্ভব হতো। 

১৯৯৯ সালে বিটিভিতে ১৯ বছর কাজ করার পর আমি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) মিডিয়া বিভাগে পরিচালক পদে যোগদান করি। বিটিভির চাকুরী ঠিক রেখে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে লিয়েন গ্রহন করি। প্রথমে খুব উৎসাহ ছিলো একটু নতুন ধরনের কাজের সুযোগ পেয়ে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুদায়িত্ব। সব সময়ে চাইতাম যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবো সেখানে কাজের ক্ষেত্রে নতুন কিছু করতে। আমি চেয়েছিলাম বাউবি মিডিয়া সেন্টারে নির্মিত অনুষ্ঠান শুধু বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির মাধ্যমে সম্প্রচার না করে অনুষ্ঠানের মান উন্নীত করে বাউবির নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে তা সস্প্রচার করতে। সে অবকাঠামো বাউবির ছিলো। কিন্তু নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আমাকে কষ্ট দিতে থাকে। যার জন্য দেড় বছর পর আমি বিটিভিতে ফিরে আসি। পরবর্তি সময়ে বাউবির জন্য তৈরি করা আমার সেই পরিকল্পনা আর কখনো আলোর মুখ দেখেনি।

২০০১ সালের ডিসেম্বরে সরকার পরিবর্তনের পর আমার জায়গা হয় জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট- নিমকোতে। প্রথম দিকে মন খারাপ থাকলেও মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকতা আমাাকে বেশ আনন্দ দেয়। বাসায় বসে পড়াশুনা করার জন্যও যথেষ্ট সময় পাওয়া যেতো। মঞ্চের সাথে আবার যোগাযোগ বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে দুটি মঞ্চ নাটকের নির্দেশনা- বলদ ও হাজার পোশাকী রাজার গল্প। 

২০০৫ সালের কথা বলছিলাম। এ বছর আমার চাকুরি জীবনের পঁচিশ বছর পূর্ণ হয়। খবর পাচ্ছিলাম ম হামিদ, শেখ সালেক ও আমাকে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর প্রদান করা হবে। এর আগের সরকারের সময়ও বিটিভির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পঁচিশ বছরের সুযোগ গ্রহণ করে অবসরে পাঠানো হয়েছিলো। আমি কাজের মানুষ। অবসর নেবার মানসিকতা আমার ছিলোনা। তখন বেশ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলো। বিটিভির প্রাক্তন প্রযোজক ও মহাপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, যাকে ১৯৯৯ সালে অবসরে পাঠানো হয়েছিলো, তিনি তখন একটি প্রাইভেট চ্যানেল প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছন। নাম নির্বাচন করেছেন বাংলাভিশন। আমি একদিন মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে কথা বললাম। তিনি আমাকে বাংলাভিশনের উত্তরার অফিসে আসতে বললেন। দেখা হবার পর আমাকে অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব নিতে বললেন এবং সেভাবে আমি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির কাজে হাত দেই। প্রায়ই নিমকো থেকে চলে যেতাম উত্তরায় বাংলাভিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে। একদিন মুস্তাফিজ ভাই এর অফিসে দেখি শামীম শাহেদ এসেছে। সে তখন প্রথম আলো পত্রিকায় কাজ করতো। শামীম শাহেদ আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। মুস্তাফিজ ভাই বললেন শাহেদ অনুষ্ঠান বিভাগে কাজ করতে চায়। আমি আনন্দের সাথে তাকে গ্রহণ করলাম। ঠিক হলো শামীম শাহেদ প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্যে বিটিভির ফেরদৌস আহমেদ যোগাযোগ করলো। ফেরদৌস সাব-এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হলেও সে ছিলো অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন এবং বাংলাদেশে সে-ই প্রথম কম্পিউটার গ্রাফিক্সে (সিজি) অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে সে জার্মানি ও জাপানে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেছিলো। ফেরদৌস বিটিভিতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ করে তারপর প্রডাকশন হাউজ ‘ইনফ্রেম’এ চলে আসতো। সে সময় ‘ইনফ্রেম’ প্রতিষ্ঠা করেছিলো আফজাল আহমেদ, সদরুল পাশা, আহসান নেওয়াজ বাবু ও আনোয়ার হোসেন বুলু। ইনফ্রেমের সব প্রধান কাজের চিত্রগ্রহণ করতো আনোয়ার হোসেন বুলু। আরও কয়েকজন চিত্রগ্রাহক ছিলো। অন্যদিকে সিজিতে ফেরদৌস আহমেদ। তার আলাদা কম্পিউটার ছিলো গ্রাফিক্স ও এনিমেশনের জন্য। ইনফ্রেমে ভিডিও এডিটিং করতেন ফজলুর রহমান। এরা প্রায় সকলেই ছিলেন বিটিভির। একে একে বিটিভি ছাড়েন আহসান নেওয়াজ বাবু, আনোয়ার হোসেন বুলু, ফজলুর রহমান। 
ফেরদৌস আহমেদ বিটিভি ছাড়েন যখন তিনি বাংলাভিশনে কাজ শুরু করেন তখন। বাংলাদেশে সেসময় টেলিভিশন কমার্শিয়াল (টিভিসি) নতুন একটি যুগের সূচনা করে। আফজাল আহমেদ, সদরুল পাশা, সাইদুল আনাম টুটুল ও আমি তখন এদেশের প্রায় আশি ভাগ টিভিসি তৈরি করতাম। আমরাই প্রথম ভিডিওতে টিভিসি নির্মাণ শুরু করি। তার আগে ৩৫ এমএম ফিল্মে টিভিসি তৈরি করা হতো, যা ভিডিওতে রূপান্তর ও সম্পাদনার জন্য মুম্বাই বা ব্যাঙ্কক যেতেন নির্মাতারা। আমিও একাধিকবার মুম্বাই গিয়েছি, সেখানে ওয়েষ্টার্ণ আউটডোর স্টুডিওতে পোষ্টপ্রডাকশন এর জন্য। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বহি:বাংলাদেশ ছুটি নিয়ে তারপর বিদেশ যেতে হতো। বাইরে কাজ করার অনুমতি আমি আগেই নিয়ে রেখেছিলাম।

বাংলাভিশন নতুন অফিস নেয় সোনারগাঁও রোড়ের নূর টাওয়ারে। আমি ও ফেরদৌস ভবনের ফ্লোরপ্ল্যান নিয়ে বসি স্টুডিও ডিজাইন করার জন্য। সবকিছুই পরিকল্পনা মতোই এগুচ্ছিলো। মাঝে মাঝে অনেক রাতে আমি ও ফেরদৌস নূর টাওয়ারে চলে যেতাম কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য।

২০০৫ এর এপ্রিলে সরকার বাংলাভিশন সহ আরটিভি, চ্যানেল ওয়ান ও বৈশাখী চ্যানেলের অনুমোদন দেয়। পরবর্তিতে ইসলামিক টিভি, দিগন্ত- এগুলো এসেছে। ২০০৫ এর জুলাই মাসের ১৭ তারিখে আমার চাকরির পঁচিশ বছর পূর্ণ হবে। আমাদের (আমি, ম হামিদ ও শেখ সালেক) অবসর প্রদানের গুঞ্জন তখন বিটিভি ও নিমকোর চারিদিকে। তাই একদিন তথ্য মন্ত্রণালয়ে যাই বিষয়টি যাচাই করার জন্য। জানতে পারি ফাইল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।

মুস্তাফিজুর রহমান তখন বাংলাভিশনের এমডি হিসেবে কাজ শুরু করেছেন নতুন অফিসে। যোগাযোগ করলাম আমার যোগদানের বিষয়টি চুড়ান্ত করার জন্য। তিনি কিছুটা সময় চাইলেন। আমাকে জানাবেন বললেন। এরমধ্যে একদিন এনটিভি থেকে মোস্তফা কামাল সৈয়দ আমাকে ফোন করলেন। তাঁর কথা "পঁচিশ বছরতো অনেক কাজ করলেন বিটিভির জন্য। এখন নতুন কাজ শুরু করেন। আরটিভির দায়িত্ব নেন। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে রেখেছি।" 

কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তবে আরটিভি কর্তৃপক্ষের উৎসাহ আমাকে অনুপ্রাণিত করলো। তারা নিশ্চিত করলেন, আমার কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। আমি নিজের মতো করে অনুষ্ঠান সাজাতে পারবো। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব থাকবেনা, ইত্যাদি। আমাকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব নিতে বলেন। আমি বললাম, আমি অনুষ্ঠান প্রধান ও নির্বাহী পরিচালক দুটি পদেই একসাথে কাজ করবো। কর্তৃপক্ষ সম্মত হলেন। যোগদান করার আগেই আমার অফিস কক্ষ বরাদ্দ করা হলো সেই সাথে একটি নতুন গাড়ি। বুঝলাম তারা আমার ব্যপারে শতভাগ আস্থাশীল। আমি অন্য কোথাও চলে যাই তা তারা চাননা। 

১৮ জুলাই ২০০৫, আমি সচিবালয়ে তথ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এর সাথে দেখা করলাম। তার সাথে ছাত্রজীবন থেকেই পরিচয়। তিনি আমার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তিনি অবসর সংক্রান্ত আমাদের ফাইল যে তৈরি হচ্ছে তার আভাস দিলেন। এ বিষয়ে তার অসহায়ত্বের কথাও প্রকাশ করলেন। বললাম "আমি তাহলে স্বেচ্ছা অবসর নিতে চাই।" তিনি কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন। তারপর বললেন "জীবনে মাঝে মধ্যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। যেহেতু আপনার সামনে সুযোগ আছে, সুতরাং ...।" আমি বুঝে গেলাম। আমি তার রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। স্বেচ্ছা অবসরের আবেদনপত্র তৈরি করে আবার সচিবের রুমে গেলাম। তিনি আবেদনটি রেখে দিলেন। আমাকে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করার জন্য শুভকামনা জানালেন। 

নিমকোতে এসে আমি ম হামিদ ও শেখ সালেকের সাথে কথা বললাম। তারা স্বেচ্ছা অবসর নিতে চাননা। অবশ্য কিছুদিন পরেই সরকার তাদের দুজনকেই অবসর (ফোর্স রিটায়ারমেন্ট) প্রদান করেন। 

এদিকে আমি যখন আরটিভির সাথে কথা চুড়ান্ত করে ফেলেছি তখন একদিন বাংলাভিশন থেকে মুস্তাফিজুর রহমান ফোন করলেন। বললেন, "তুমি আমাদের সাথে কাজ শুরু করো।" আমি এ বিষয়ে কেনো কথা বললাম না। এর মাঝে আরেক দিন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ফোন করে বাংলাভিশনে আমাকে যোগদানের জন্য বললেন। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম। এখন কি করে আমি আরটিভি থেকে বাংলাভিশনে আসবো। মুস্তাফিজ ভাই এবং মতি ভাই দুজনেই হয়তো আমার উপর একটু অসন্তুষ্ট হলেন। আমি শামীম শাহেদকে ডেকে তার কাছে বাংলাভিশনের জন্য তৈরি করা আমার অনুষ্ঠান পরিকল্পনার ফাইলটা দিয়ে দেই। মুস্তাফিজুর রহমান নিজেও যেহেতু একসময় প্রযোজক ছিলেন সেহেতু তিনি নিজেই অনুষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বটা এমডি হিসেবে নিজের হাতেই রেখে দেন। 

অবশেষে আমি বাংলাভিশনে নয় আরটিভিতে যোগদান করলাম। বৈশাখীতে তখন যোগদান করেছিলেন আলী হায়দার রিজভী, চ্যানেল আইতে বরকতউল্লাহ। হায়দার রিজভী এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বৈশাখী থেকে পদত্যাগ করেন তখন সেখানে প্রধান নির্বাহীর পদে যোগ দেন ম হামিদ। শেখ সালেক চ্যানেল এসএ বার্তা প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন।

পরবর্তি সময়ে আমরা তিনজনই আবার বিটিভিতে ফিরে এসেছিলাম।

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব  ১

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank