ফ্লোরিডায় হয়ে গেলো জমজমাট এশিয়ান ফুড ফেস্টিভাল ও কালচারাল শো
ফ্লোরিডায় হয়ে গেলো জমজমাট এশিয়ান ফুড ফেস্টিভাল ও কালচারাল শো
ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্লোরিডার আয়োজনে এশিয়ান ফুড ফেস্টিভাল ও কালচারাল শো ২০২৩। গত ৪ ও ৫ মার্চ ফ্লোরিডার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মিরামার রিজিওনাল পার্কের এমপিথিয়েটারে ছিলো এই আয়োজন।
ফ্লোরিডার বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি, এশিয়ান কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক মানুষ ও স্থানীয় আমেরিকানদের সমাগম ঘটে এই আয়োজনে।
দুদিনের উৎসবে দশ হাজারের ও বেশি লোক সমাগম ঘটে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাংলাদেশি কমিউনিটির এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন এমনটা দাবি করে আয়োজকরা বলেন এবারেও মেলা হয়ে উঠেছিল এক মহা মিলন কেন্দ্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মেয়র ওয়েন এম. মেসাম এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মিয়ামিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ।
পুরো আয়োজন মাতিয়ে তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আসা নামকরা শিল্পীরা। দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা অবধি এই এই মেলায় আকর্ষণীয় বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রাণভরে উপভোগ করেন হাজারো দর্শক। এশিয়ার ১৫ টিরও বেশি দেশের সাংস্কৃতিক দল বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। মনমুগ্ধকর নৃত্যের তালে তালে মঞ্চ হয়ে উঠেছিল এক বিনোদনের সম্ভার।এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বহু জাতিক শিল্পীদের গানে ও নাচে ভরে উঠেছিল এই অনুষ্ঠানটি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল বাংলাদেশ থেকে আগত রকস্টার গায়ক তাহসান, ভারত থেকে ইন্ডিয়ান আইডল ফাইনালিস্ট মো. দানিশ এবং সাইলি ক্যাম্পবেল, পাকিস্তান থেকে খ্যাতনামা আলমগীর ও রায়ান। প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নিউইয়র্কের সঙ্গীত শিল্পী দম্পতি রায়ান তাজ ও প্রমি তাজ। তাদের পরিবেশিত গানগুলো দর্শকদের মাতিয়ে তোলে। এছাড়াও উত্তর আমেরিকার সঙ্গীত শিল্পী ত্রিনিয়া হাসান, চয়ন, শর্মিলা, পিয়ালী সহ আরো অনেকে গান শোনান। নৃত্য পরিবেশনায়ও ছিলেন বিভিন্ন দেশের শত শত শিল্পী।
এটি ছিলো এশিয়ান ফুড ফেস্টিভালের ২৮তম আয়োজন। এশিয়ার বিভিন্ন দেশর পণ্য-সামগ্রীর প্রদর্শনী হয় শতাধিক স্টলে। এছাড়াও রকমারি সুস্বাদু খাবারের বিভিন্ন স্টল ছিল ফুড কোর্টে।
আয়োজকদের অন্যতম ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইমরান, সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ালে দয়ান, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. শাহেদ।
মেলার কো চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন রেজা ইসলাম, মোঃ খোরশেদ ও অসীম, টেকনিক্যাল ইভেন্ট ডাইরেক্টর ছিলেন ইমরান জনি, সহকারী কালচারাল চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম টিটু , ম্যাগাজিন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন। আর কো কনভেনার মোহাম্মদ হারুন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ