শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১১:২১, ৮ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১২:২২, ৮ এপ্রিল ২০২১

৪২৬

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু

দ্বিতীয় ডোজ শুরুর দিনে টিকা নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
দ্বিতীয় ডোজ শুরুর দিনে টিকা নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার পর্যাপ্ত মজুত না থাকলেও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পাশাপাশি অব্যাহত আছে প্রথম ডোজের কার্যক্রম।

**টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বৃহস্পতিবার

দ্বিতীয় ডোজ শুরুর দিনে টিকা নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারের কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৯টায় এই টিকা নেন।

এছাড়া নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ আরও অনেকেই টিকা নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, ওয়ার্ল্ড ভ্যাকসিনেশন কমিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ প্রথমটির ৮ সপ্তাহ পর গ্রহণ করলে ভালো হয়। সেই পরামর্শ থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।

সেদিন ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। গণ টিকাদান শুরুর পর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন।

চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও ও রমজানে কীভাবে চলবে টিকা কার্যক্রম, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গত সোমবার সভা হয়। ওই সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকাগ্রহীতাদের এসএমএস দেয়া হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রের নাম উল্লেখ থাকবে।

  • টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন
  • নিবন্ধন করেছেন ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন
  • টিকা মজুদ আছে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ 

গত মঙ্গলবার থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে জেলায় জেলায় টিকা পাঠানো হয়। জেলায় জেলায় গঠিত টিকা কমিটি তা গ্রহণ করছে।

টিকার কোনো সংকট হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘কেনা টিকার ৩০ লাখ ডোজ এপ্রিলের মধ্যে আসবে। যে পরিমাণ টিকা আছে সেটা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ শুরু হবে। আশা করছি মে মাসে কোভ্যাক্সের টিকা পেয়ে যাব। আবার ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও হয়তো উঠে যাবে। তাই আমি বলব টিকার কোনো সংকট হবে না।’

ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার ১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখন ৪৬ লাখের কিছু বেশি টিকা মজুদ আছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছে। সরকার ভারতের সিরাম থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ও দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রথমেই ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে। আর ২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপহার হিসেবে আরও ১২ লাখ টিকা নিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। 

তবে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানি বিলম্বিত হতে পারে।

এ বিষয়ে এখনও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। মার্চের চালান এখনও আসেনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছিল,মার্চে টিকার এ ঘাটতি পূরণ করে দেবে সিরাম। তবে এক মাসের বেশি সময় ধরে টিকার কোনো চালান পায়নি দেশ।


 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
স্পটলাইট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত