শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বৃহস্পতিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

০০:৫২, ৮ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১২:২১, ৮ এপ্রিল ২০২১

৬৪৩

টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বৃহস্পতিবার

টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বৃহস্পতিবার
টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বৃহস্পতিবার

দেশে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগের যে কর্মযজ্ঞ শরু হয়েছিল গেল ৭ ফেব্রুয়ারি, সেটিরই দ্বিতীয়  ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। পাশাপাশি নিবন্ধিতদের প্রথম ডোজের টিকাও দেওয়াও চলবে।

দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকেই। এসএমএসে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে।

সারাদেশে গণ টিকাদানের শুরুতে গত ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার তাদেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড টিকা। দুই মাসের ব্যবধানে সবাইকে এ টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হবে।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।

সেদিন ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। গণ টিকাদান শুরুর পর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন।

  • টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন
  • নিবন্ধন করেছেন ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন
  • টিকা মজুদ আছে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ 

ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার ১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখন ৪৬ লাখের কিছু বেশি টিকা মজুদ আছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছে। সরকার ভারতের সিরাম থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ও দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রথমেই ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে। আর ২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপহার হিসেবে আরও ১২ লাখ টিকা নিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। 

তবে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানি বিলম্বিত হতে পারে।

এ বিষয়ে এখনও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। মার্চের চালান এখনও আসেনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছিল,মার্চে টিকার এ ঘাটতি পূরণ করে দেবে সিরাম। তবে এক মাসের বেশি সময় ধরে টিকার কোনো চালান পায়নি দেশ। 

চুক্তি অনুযায়ী কেনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। মার্চের শেষ সপ্তাহে এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে চিঠির জবাব এখনও আসেনি। সরকার আশা করছে চলতি মাসেই আসবেটিকার দ্বিতীয় চালান। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে বলেছেন, টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
স্পটলাইট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত