শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাপে কামড়ালে কী করবেন, কী করবেন না?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৬:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

৬৬৮

সাপে কামড়ালে কী করবেন, কী করবেন না?

বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে সাপের কামড় একটি সাধারণ ঘটনা। বাংলাদেশেও প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ সাপের কামড়ে হাসপাতালে যান। তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগপর্যন্ত কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ধারণা থাকলে মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (হু) হিসাবমতে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ সাপের কামড় খান। এদের মধ্যে ৮১ থেকে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যান।

অনেক সাপেরই কোনো বিষ থাকে না। কিন্তু সাপ নিয়ে ধারণা না থাকলে কোন সাপের বিষ আছে আর কোনটির নেই তা জানা সম্ভব নয়। তাই সাপে কামড় দিলে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো খুব সাবধানতার সাথে ফেলতে হবে।

সাপের বিষ কী?

সাপের লালাগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরলই সাপের বিষ। সাপ শিকার মারতে ও হজম করতে বিষ ব্যবহার করে। মূলত সাপের বিষ দুই ধরনের। এক, যেগুলো স্নায়ুকে আক্রান্ত করে। যেমন কেউটে বা গোখরা সাপের বিষ। অন্য ধরনের বিষ রক্তকে আক্রান্ত করে। যেমন চন্দ্রবোড়ার বিষ।

সর্পাঘাত পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ

অ্যাম্বুলেন্স ডাকা: সাপে কামড়ের চিকিৎসা বাড়িতে না নিয়ে হাসপাতালে নিতে হবে। চিকিৎসকের কাছে সাপের আকার-আকৃতি, রং ইত্যাদি বিশদভাবে বর্ণনা করতে হবে। নির্বিষ সাপ কামড়ালেও রোগীর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা ধনুষ্টংকার হতে পারে। তাই কোনোভাবেই সাপের কামড়কে অবহেলা করা যাবে না।

রোগীর নড়াচড়া বন্ধ: সাপের বিষ যাতে আক্রান্ত স্থান ছাড়াও শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য রোগীকে নিশ্চল অবস্থায় রাখতে হবে। কাটা স্থানে বা এর আশেপাশে যদি কোনো বেল্ট, গহনা, আংটি, ঘড়ি ইত্যাদি থাকে, তবে এগুলো খুলে রাখতে হবে যাতে ওই স্থান ফুলে না যায়।

স্ট্রেচার: রোগীকে স্ট্রেচারে বহন করতে হবে। বাঁপাশ ফিরিয়ে শোয়াতে হবে। কেননা উপুড় হয়ে শুলে বমি হলে পরে তা গলায় আটকে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

যেসব কাজ করা যাবে না:

  • আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া যাবে না। কারণ সাপেকাটার চিকিৎসা আছে।
  • ঝাড়ফুঁকের ওপর একদমই নির্ভর করা যাবে না।
  • দংশন স্থান কাটা যাবে না। কোনোভাবেই ওই স্থানে মুখ দিয়ে বিষ চুষে বের করা চেষ্টা করা যাবে না। এ পদ্ধতি বাংলা সিনেমায় কাজ করলেও বাস্তবে এটি একটি হাস্যকর পদ্ধতি।
  • দংশন স্থানের আশপাশে কিছু বাঁধা যাবে না। তা-তে হাত বোলানো যাবে না। এমনকি বরফও ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এতে ওই স্থান আরও কেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
  • দংশন স্থানে বা শরীরের অন্যকোথাও বা কোনোভাবে কোনোপ্রকার লতাগুল্ম ব্যবহার করা যাবে না, যদি না প্রাথমিক চিকিৎসকের সে সম্পর্কে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান না থাকে।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank