সাধারণ জ্বর নাকি করোনা, যেভাবে বুঝবেন
সাধারণ জ্বর নাকি করোনা, যেভাবে বুঝবেন
![]() |
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এদিকে দেশে করোনার চতুর্থ সংক্রমণ টেউও ফিরছে বলে একাধিক বিশেষজ্ঞ আভাস দিয়েছেন। ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বর স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই জ্বর করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ। তাই শঙ্কা থেকেই যায়- করোনা পজিটিভ না তো!
বিশেষজ্ঞদের মতে বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখে প্রাথমিকভাবে বোঝা যেতে পারে মরশুমের অসুস্থতা নাকি করোনায় আক্রান্ত আপনি। মনে রাখবেন, জ্বর প্রতি ক্ষেত্রেই আসবে। কিন্তু তারও তারতম্য রয়েছে।
ডেঙ্গু
হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচন্ড ব্যথা।
চিকুনগুনিয়া
ধীরে ধীরে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। অবসাদ, ঠান্ডা লাগা, ত্বকে ফুসকুড়ি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, দুটি চোখের পিছনের অংশে অসহ্য যন্ত্রণা, তলপেটে ও পেশিতে ব্যথা অনুভব।
ম্যালেরিয়া
ধুম জ্বর, কখনো কমবে বা কখনো বেড়ে যাবে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বেদনা, খুব ঘাম হবে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে, ডায়রিয়া ও জন্ডিসের বেশকিছু লক্ষণও দেখা দেবে।
ভাইরাল জ্বর
গায়ের তাপমাত্রা কখনও বাড়বে আবার কখনও কমে আসবে। প্রচন্ড দুর্বল লাগবে। ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। একেবারেই খেতে ইচ্ছা করবে না।
জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি হলে ঘরে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নেবেন। হালকা খাবার খাবেন। হালকা গরম পানি খাবেন পর্যাপ্ত। দরকার মতো প্যারাসিটামল, কাশির ওষুধ খাবেন একটু আধটু। নরমাল স্যালাইন ড্রপ দেবেন নাকে। হাঁচি-কাশির সময় পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করবেন। শিশু, বয়ষ্ক, রুগ্ণ ও গর্ভবতীদের থেকে দূরে থাকবেন। এটুকু করলেই ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমেই ভাইরাসকে কাবু করা যাবে। তখন বুঝতে হবে এটা সাধারণ ফ্লু-ই ছিল।
যদি করোনায় আক্রান্ত হন
২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনার লক্ষণ শুরু হয়। এই সময়ে ১ থেকে ৪ দিনের মধ্যে করোনার জ্বর দেখা দিতে পারে। হাচি, কাশি শুরু হবে ১ থেকে ৩ দিনে। উপসর্গ ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকবে। শুরু হতে পারে কাশি, শ্বাসকষ্ট। এরই সঙ্গে থাকতে পারে জ্বর, দুর্বলভাব, নাকে অস্বস্তি।
এক্ষেত্রে আপনি স্বাদ ও গন্ধ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, জ্বর জ্বর ভাব। এক থেকে দু দিন জ্বরের তাপমাত্রা ১০৩° ছুঁয়ে গেলেও মোটের উপর ৯৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে শরীরে। শ্বাস নেওয়া সমস্যা হবে। প্রচন্ড ক্লান্তি ঘিরে ধরবে। সব সময় মনে হবে ঘুম পাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে গলায় ব্যথা হতে পারে।
সুস্থ থাকতে প্রথম থেকেই গরম পানিতে গার্গল করুন। পুষ্টিকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন টাটকা সবজি, ফল, অশ্বগন্ধা, আমলকি। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুইবার করে গরম ভাপ নিন। কারণ সামান্য ভুলের জন্য পরিবারের সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। যদি কোনও উপসর্গ দেখা যায়, প্রথমেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করতে হবে। প্যানারয়েড হওয়াটাই সেরা কৌশল। কারণ করোনা খুবই সংক্রামক ব্যাধি। প্রথম উপসর্গেই আলাদা করতে হবে। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনি করোনায় পজিটিভ না নেগেটিভ।

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়
- যেসব কারণে ত্বক কালো হয়ে যায়
- মেরুদণ্ডের যত্ন নিন
- কাঁচা পেঁপে কাজে পাকা
- সর্দি-কাশিতে কফ সিরাপ নয়, বিকল্প নাগালেই
- যে ১০ কারণে মানুষ ব্যর্থ হয়!
- বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী হয়?
- মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়
- গুণে ভরা লাল কলা
- দক্ষ কর্মীরা কেন প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যায়?