আরও ৫২৮০০০ নতুন কাজ যুক্তরাষ্ট্রে, ফিরেছে মহামারির আগের পরিস্থিতি
আরও ৫২৮০০০ নতুন কাজ যুক্তরাষ্ট্রে, ফিরেছে মহামারির আগের পরিস্থিতি
কাজের অভাব নেই যুক্তরাষ্ট্রে। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কাজের সুযোগ। স্রেফ জুলাই মাসেই এদেশের কর্মজগতে সৃষ্টি হয়েছে ৫২৮,০০০টি নতুন কাজের সুযোগ। শুক্রবার দেশটির শ্রম দফতর এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
শ্রম দফতর মনে করছে দেশটির নিয়োগকর্তারা 'অসাধারণ' কাজ করছেন। বিশেষ করে করোনা অতিমারির পর মানুষ যখন আবারও কাজে ফিরতে শুরু করেছে তখন এই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এবং একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নতুন কাজ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
নতুন এই কর্মসৃষ্টির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সার্বিক কর্মসংস্থান চিত্র করোনা অতিমারিতে দেওয়া লকডাউনের আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে অবস্থানে ছিলো সেখানে ফিরেছে। শ্রম দফতর বলছে, এতে প্রমাণিত হলো, কিছু কিছু শিল্পে ধীরগতি চলে এলেও সার্বিক ভাবে কাজের সুযোগে খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। আর এর মধ্য দিয়ে আরও একটি প্রমাণ সামনে এলো যে, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে না।
তবে অধিকাংশ পূর্বাভাসকারী বিশ্লেষক বলছেন, এখনই এ বিষয়ে শেষ কথা বলার মতো কিছু হয় নি। নিয়োগকর্তারা নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করছে ঠিকই, কিন্তু বেতন-মজুরি কমিয়ে দিচ্ছে খরচ সমান রাখার জন্য।
আইএনজি ব্যাংকের প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ জেমস নাইটলের কথাই ধরুন। নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলছিলেন, এই পর্যায়ে, আপাতদৃষ্টিকে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হচ্ছে, কিন্তু এ বছরের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৩ এর প্রথম দিকে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে উঠতে পারে।
দেশে বেকারত্বের হারেও অবশ্য পরিবর্তন এসেছে। জুনে যা ৩.৬ শতাংশ ছিলো জুলাইয়ে ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। করোনা অতিমারির প্রাক্কালে যে হার ছিলো তার সমান হয়ে এলো এর মধ্য দিয়ে। আর তখন সে হার ছিলো ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বেকারত্বের রেকর্ড।
গেলো সপ্তাহে সরকার জানিয়েছে দেশের জিডিপি টানা দুই কোয়ার্টার উর্ধ্বমুখি রয়েছে যাতে মুদ্রাস্ফীতিতে সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হচ্ছে। তবে বাড়ি তৈরি, নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগে ব্যাপক হ্রাস আর ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিও ওই রিপোর্টে উঠে আসে।
এতে সার্বিকভাবে শ্রমবাজারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, হোক তা তাৎক্ষণিক নয়, বলেন বিশ্লেষকরা।
গ্লোবাল স্টাফিং এজেন্সি এডেকো'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমি গ্লেসার বলছিলেন, তার ফার্ম কর্মঘণ্টা পূর্ণ করার মতো কর্মশক্তি পচ্ছে না। বিশেষ করে খুচরা ও লজিস্টিক পণ্য সেবার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কর্মী মিলছে না। হতে পারে, নিয়োগকর্তারা এসব কাজের পর্যাপ্ত ও আকর্ষণীয় মজুরি নির্ধারণে ব্যর্থ হচ্ছে।
হতে পারে, আমাদের কাজের সুযোগ আর সে কাজটি করার আগ্রহ এই দুইয়ের মধ্যে একটা ফারাক থেকে যাচ্ছে, বলেন গ্লেসার।
"আমরা জানি ওয়্যারহাউসগুলোতে লাখ লাখ কাজের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু দিনে ১০ ঘণ্টা পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে টানা কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা কিংবা শারীরিক শক্তি হয়তো অনেকেরই নেই। কিংবা অনেকেই তা করতে চাইছেন না।"
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গ্রেফতার
- হাসাপাতলের বাইরে হঠাৎ মোটরশোভাযাত্রায় ট্রাম্প
করোনা খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয় - নিজের আসন নন্দীগ্রামে হেরেই গেলেন মমতা
- সৌদির পতাকা থেকে কালেমা বাদ যাচ্ছে না: গাল্ফ নিউজ
- জীবনের কোড পুনর্লিখন, রসায়নে নোবেল পেলেন দুই নারী বিজ্ঞানী
- ৯১ এ চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের
- প্রায় তিন দশকের বিতর্কের অবসান হবে কি?
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ - মহাশূন্য যাত্রার নবযুগ, স্পেসএক্স`র ক্যাপসুল চেপে উড়াল ৪ নভোচারীর
- আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন, হেরে গেলেন ট্রাম্প
- ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ৮০ মিলিয়ন গ্যালন তেল নিয়ে ডুবে যাচ্ছে নামারবিয়া!