শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০ || ১৭ রমজান ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইউরোপের সীমান্তগুলোতে নজরদারি-প্রযুক্তির মচ্ছব

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৬:৩২, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

৩৯৪

ইউরোপের সীমান্তগুলোতে নজরদারি-প্রযুক্তির মচ্ছব

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ইউরোপের দেশগুলো তাদের সীমান্তে শরণার্থীদের রুখতে নিয়মিতই অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আর এর জন্য তারা খরচ করছে মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো। দ্য গার্ডিয়ান এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে এক প্রতিবেদনে।

এসব প্রযুক্তির মধ্যে আছে আকাশ থেকে নজরদারি, সেন্সর প্রযুক্তি ও ক্যামেরা, নজরদারি কেন্দ্র ইত্যাদি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব প্রযুক্তি এই দেশগুলোকে সরবরাহ করে।

গত এক দশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো প্রায় কয়েক মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তাদের সীমান্তকে সুরক্ষিত করেছে যাতে শরণার্থীরা প্রবেশ করতে না পারে। সর্বশেষ সম্প্রতি পোল্যান্ড তাদের বেলারুশীয় সীমান্তে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও মোশন সেন্সর সংবলিত দেওয়াল নির্মাণ করার জন্য সাড়ে তিনশ মিলিয়ন ইউরো খরচ করার অনুমোদন দিয়েছে।

বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তারা ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য। গ্রিস তুরস্কের সীমান্তে এয়ারশিপ মোতায়েন করেছে একই উদ্দেশ্যে। ভূমধ্যসাগরের ওপরে ইউরোপিয়ান বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সি (ফ্রন্টেক্স) হেরন ড্রোন স্থাপন করেছে। এ ড্রোন দীর্ঘসময় ধরে আকাশে অবস্থান নিয়ে নজরদারি চালাতে পারে।

ভূমিসীমান্তে নজরদারির জন্য রয়েছে সেন্সর ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। মানুষজনের নড়াচড়া নির্দিষ্ট করা, লুকানো স্থান থেকে কাউকে খুঁজে বের করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তিগুলো ভীষণ কাজে দেয়। গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তে গ্রিস থার্মাল ক্যামেরা বসিয়েছে। যেকোনো দূরবর্তী অপারেশন সেন্টারে বসেই এখন দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে খেয়াল রাখা সম্ভব দেশটির জন্য। এর বাইরে দেশটি একধরনের শব্দকামান ব্যবহার করে। এ কামান ১৬২ ডেসিবলের 'শব্দগোলা' নিক্ষেপ করে যাতে বাধ্য হয়ে মানুষ দিক পরিবর্তন করে।

শরণার্থী শিবিরগুলো পরিণত হয়েছে প্রায় কারাগারের মতো। এখানে শরণার্থীদের বিশেষ কোনো স্বাধীনতা নেই। গ্রিসের সামোস দ্বীপে সেপ্টেম্বর মাসে এরকম একটি শিবির খোলা হয়। এখানে ৩০০০ শরণার্থীকে মিলিটারি-গ্রেড বেড়া ও সিসিটিভির মধ্যে দিন কাটাতে হয়। এর জন্য গ্রিস খরচ করেছে তিন কোটি ৮০ লাখ ইউরো।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করা হচ্ছে এসব কাজে। লাটভিয়া, হাঙ্গেরি, ও গ্রিস সীমান্তে ইইউ সাড়ে চার মিলিয়ন ইউরো খরচ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন লাই ডিটেক্টর বসিয়েছে। শরণার্থীদের কথা বলার সময় তাদের মুখভঙ্গি বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করা এ যন্ত্রের কাজ। পরীক্ষামূলক এ পদ্ধতিটি সফল হয়েছে। তবে অনেকে দাবি ও সমালোচনা করেছেন এর। তারা বলছেন ছোটখাট অ্যাক্সপ্রেশন দেখে সত্য যাচাই করা সম্ভব নয়। আপাতত এ প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে আইনি দ্বন্দ্ব চলছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আদালত এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
পৃথিবীজুড়ে বিভাগের সর্বাধিক পঠিত