মহামারির বছর পেরিয়ে ঢিলেমি বাড়াচ্ছে সংক্রমণ
মহামারির বছর পেরিয়ে ঢিলেমি বাড়াচ্ছে সংক্রমণ
মহামারির বছর পেরিয়ে ঢিলেমি বাড়াচ্ছে সংক্রমণ |
চীনের উহান থেকে গত বছরের মার্চে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে করোনাভাইরাস এসেছিল বাংলাদেশে। এক বছর পর মহামারি বধে টিকা দিয়েছে স্বস্তি। সেইসাথে আবারও সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা নতুন করে উদ্বেগও তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে এক ধরনের গাছাড়া ভাব চলে এসেছে, যা আশঙ্কার। এখন সংক্রমণ কমিয়ে রাখতে হলে আগের মতো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
ওই বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যার বছর পূর্ণ হলো আজ। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার এখন ৫ শতাংশের নিচে, যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের গণপরিবহন। সাধারণ ছুটি সাত দফা বাড়ানো হয়। অবশেষে তিন মাস পর ৩০ মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করা হয় সরকারি-বেসরকারি অফিস।
৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুললেও বন্ধ থাকে সব ধরনের গণপরিবহন। তবে ১৫ জুনের পর থেকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে রাজধানীর জীবনযাত্রা।
১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি দফায় দফায় বাড়িয়ে এ বছরের ২৯ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮ মার্চ প্রথম মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর জুলাই পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগী বেড়েছে। এর মধ্যে ১ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। ১৭ জুন ৪ হাজার ৮ জন এবং ২৯ জুন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
জুলাইয়ের পর সংক্রমণ নিম্নগামী হতে শুরু করে। অগাস্ট , সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সংক্রমণ কমলেও নভেম্বরে কিছুটা বেড়ে যায়। আর গত ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ কমের দিকে।
সংক্রমণের হারের ওঠানামার গড় মাসিক হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ শনাক্ত হওয়ার পর ওই মাসে দৈনিক গড় সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে তা বাড়তে বাড়তে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশে ওঠে, যেটা সর্বনিম্ন ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত বছরের মাঝামাঝিতে যে সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের উপর ওঠেছিল, তা এবছর ফেব্রুয়ারিতে ৩ শতাংশের নিচে নামলেও মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওঠানামার মধ্যেও বেড়ে তা ৪ শতাংশের উপরে ওঠেছে।
যদিও এর মধ্যেই গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণহারে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এক মাসে প্রায় ৩৮ লাখ মানুষ টিকাও নিয়েছেন।
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত