চলতি সপ্তাহেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেছেন, এসব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার কেন্দ্র হবে আলাদা।

**দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনার টিকায় হু’র অনুমোদন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ‘সক্ষমতা অনুযায়ী সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আশা করছি, এই সপ্তাহেই আমরা শুরু করতে পারব।’

মহাপরিচালক জানান, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেয়ার। তাহলে আমরা একসঙ্গে অনেক শিশুকে দিতে পারব। এটা তো চাইলে হবে না, জায়গা পেতে হবে, লোকবলের বিষয় আছে।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করবে। অধিদফতর তাদের বিস্তারিত সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেবে। যেকোনো একটা টিকা দেয়ার আগে টেস্ট রান করা হয়। ৫০ থেকে ১০০ জনসহ শিক্ষার্থীকে আগে টিকা দেওয়া হবে। তার তারা পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এরপর টিকা দেওয়া হবে বড়ো আকারে। 

গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু অর্থাৎ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিগগিরই ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হবে। এই বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চারদিন আগে জেনেভা সফর করেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সংক্রমণরোধে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের (১২ থেকে ১৭ বছর) ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।’

তিনি বলেন, এখন ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা মজুত রয়েছে। এই ৬০ লাখ টিকা ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। এর মধ্যে চলতি মাসে আরও ৭০ লাখ টিকা আসবে। তখন শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমে কোনো ঘাটতি পড়বে না।