দেশে করোনায় দ. আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ৮১ শতাংশ: আইসিডিডিআর,বি
দেশে করোনায় দ. আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ৮১ শতাংশ: আইসিডিডিআর,বি
আইসিডিডিআরবি’র গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশে করোনায় দ. আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ৮১ শতাংশ |
বাংলাদেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের বেশি সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি)। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি’র এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
তারা বলছে দেশটিতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট। আইসিডিডিআর,বি জানায়, ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআরের সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্টের ওপর নজরদারি শুরু করে তারা।
তারা বলছে, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে মার্চের ২৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজিটিভ চিহ্নিত হয়। ৬ই জানুয়ারি প্রথম ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে বেড়ে যায়।
কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দেখা যায় যে, অন্য যে সব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশে, তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
মার্চের ৪র্থ সপ্তাহে দেখা যায়, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
ফলে এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং রোগী ব্যবস্থাপনার দিকটি নতুন করে ভাবতে হবে বলে তারা বলছেন।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে একধরনের চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। বিধিনিষেধের তৃতিয় দিনেই দেশে শনাক্তের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬২৬ জনের শরীরে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের।
৩৪ হাজার ৬৩০ জনের করোনা পরীক্ষায় শনাক্তের এই সংখ্যা পাওয়া যায়। পরীক্ষার এই সংখ্যাও সর্বোচ্চ। শনাক্তের হার ২২.০২। এ পর্যন্ত দেশে করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৯ হাজার ৪৪৭ জন। আর শনাক্ত সর্বমোট ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনের। গত চারদিন ধরে সংক্রমণ সাত হাজারের ওপরে রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ কতটা প্রভাব ফেলবে, তা বোঝা যাবে আরও দুই সপ্তাহ পর। এর আগ পর্যন্ত অন্তত দুই সপ্তাহ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকতে পারে। একইভাবে সামনের তিন সপ্তাহে মৃত্যু আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত