শেষ ওভারের ফয়সালায় হায়দ্রাবাদের জয়
শেষ ওভারের ফয়সালায় হায়দ্রাবাদের জয়
![]() |
টম মুডি ২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদকে প্রথমবারের মতো আইপিএল জেতানোর পর বলেছিলেন টি-২০ কে বলা হয় ব্যাটসম্যানের খেলা। তবে আমি বিশ্বাস করি দল জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে বোলাররা। দল জেতাতে ব্যাটম্যানদের করতে হয় অনেকগুলো ভালো শট। আর বোলারদের করতে হয় মাত্র ১০ টি ভালো ডেলিভারি।
সত্যিই ঠিক তেমনটাই ঘটেছিলো সেবার৷ ব্যাটসম্যানদের মাঝে কেবল রান পাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। অন্যরা খুব একটা রান না পাওয়ায় সবমিলিয়ে হায়দ্রাবাদ সংগ্রহ পেতো ১৫০-১৭০। তারপরও দেখা যেতো প্রায় ম্যাচই জিতছে তারা। একদিকে ভুবনেশ্বরের সুইং আর ইয়র্কার অন্যদিকে মোস্তাফিজের কাটার। আবার রশিদ খানের ঘূর্ণির সাথে সিদ্ধার্থ কৌলের নাকাল বল যেন নাকাল করে ছাড়ছিল সব দলকে। হায়দ্রাবাদ ২০১৮ সালের ফাইনালও খেলে একই কৌশলে।
২০১৯ মৌসুম খুব একটা ভালো না করলেও এবছর আবারও একই কাণ্ড। মনে হচ্ছে যেনো জোড় সালের জন্যই প্রস্তুত থাকে বোলাররা । আজও যেমন ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা চেন্নাইয়ের টুটি চেপে ধরেন শুরুতেই। প্রথম তিন ওভারে আসে মাত্র সাত রান। ততক্ষণে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন ওয়াটসন। পাওয়ার প্লের পরের তিন ওভার ব্যাট চালিয়ে রান পেলেও শেষ ওভারের প্রথম বলে টি নাটারজনের বলে বোল্ড হন রাইডু৷ আর শেষ বলে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ডু প্লেসি। সপ্তম ও অষ্টম ওভারে আসে মাত্র পাঁচ রান।
নবম ওভারের শুরুতেই কেদার যাদব আউট হলে চাপে পড়ে ধোনি বাহিনী।
শেষ চার ওভারে ৭৮ প্রয়োজনে মারমুখী হয়ে ব্যাট চালালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর ইঞ্জুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লে একটু শঙ্কা জাগে হায়দ্রাবাদ শিবিরে। ৪৪ রান লাগলেও স্বীকৃত বোলার না থাকায় জমে উঠেছিলো ম্যাচ। তবে শেষ ওভারে আব্দুল মাজিদ ২০ রান দিলে ৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়ার্নাররা। চেন্নাইয়ের সবোচ্চ ৫০ রান আসে জাদেজার ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৭ রান করেন অধিনায়ক ধোনি। হায়দ্রাবাদের হয়ে দুই উইকেট নেন নাটারজন। এছাড়া কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১২ রান দেন রশিদ খান।
চেন্নাইয়ের মতো হায়দ্রাবাদও ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ধাক্কা খায় । প্রথম ওভারেই দিপাক চাহারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্ট্রো। তারপর মানিশ পান্ডে আর ওয়ার্নার মিলে পরিস্থিতি সামলেও নিলেও রান আসে ধীর গতিতে। রানের চাকা সচল করতে যখনই ব্যাট চালানোর চেষ্টা করলেন তখনই শার্দুল ঠাকুরের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পান্ডে।
ম্যাচের ১১তম ওভারে পরপর দুই বলে উইলিয়ামসন আর ওয়ার্নার উউট হলে মনে হচ্ছিলো আজও কম রানেই গুটিয়ে যাবে হায়দ্রাবাদ। কেননা পরের তিন ব্যাটসম্যানই ছিলেন এবারের আইপিএলে অভিষিক্ত। কিন্তু ২০২০ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেয়া প্রিয়াম গার্গ বুঝিয়ে দিলেন কেন এত দাম দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে দলটি। তার ব্যাট থেকে ৫১ রান আসে ২৬ বলে। সাথে বাঁহাতি অভিষেক শর্মার ৩১ রানে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় ওয়ার্নার বাহিনী। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন চাহার।

আরও পড়ুন
- বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ঢাকা-কুমিল্লা
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান - ঠিক হলো এল ক্লাসিকোর দিনক্ষণ
- ফিরলেন মুমিনুল-মুশফিকও, উইকেটে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান