রোববার   ১৯ মে ২০২৪ || ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নিষেধাজ্ঞা মানছে-মানছে না, স্বস্তি-কষ্ট সবই আছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১২:২০, ৫ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৩:০৬, ৫ এপ্রিল ২০২১

৫৩৫

নিষেধাজ্ঞা মানছে-মানছে না, স্বস্তি-কষ্ট সবই আছে

সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল ও সার্বিক কাজে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন
সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল ও সার্বিক কাজে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন

ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য সার্বিক কাজ ও চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে দেশে। এই সময়ে মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকছে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ। চলছে না গণপরিবহন। অভ্যন্তরীন পথে উড়ছে না উড়োজাহাজ। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

**সংক্রমণ কমাতে সাতদিনের বিধি-নিষেধ শুরু আজ, না মানলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা

প্রথম দিনে রাজধানীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় সকাল থেকে যান চলাচল ছিল অনেকটা কম। সড়কে গণপরিবহন অর্থাৎ বাস দেখা যায়নি। অফিস ও শিল্পকারখানা খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও রিকশাই ভরসা।

তবে অফিসপাড়া ও অন্যান্য সড়কে রিকশা ও মোটরসাইকেলের অটোরিকশার আধিক্য ছিল। ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দেখা গেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গাড়িও চলতে দেখা গেছে।

অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে খাবার হোটেল খুলতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অনেককে হোটেলে বসে খেতেও দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বসেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও কাঁচাপণ্যের বাজার।

জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মীদের অফিসে আনা-নেওয়ার কথা বলেছে সরকার। একইভাবে শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার শর্তে শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চালু আছে।

ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশ আছে সকাল ১০টা থেকে আড়াই ঘন্টা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেনের কাজ চালিয়ে নিতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনাও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। 

বাস, ট্রেন ও লঞ্চঘাট থেকেও ছেড়ে যায়নি কোনও পরিবহন। 

এদিকে স্বাস্থবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন ঢাকার গাউছিয়া ও নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা।

  • যা যা করা যাবে না এবং বন্ধ যেসব
  • সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
  • খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা যাবে না। এসব জায়গা থেকে খাবার কিনে আনতে হবে।
  • শপিং মল বন্ধ থাকবে।
  • গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে।
  • নিম্ন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
  •  
  • যা যা করা যাবে এবং খোলা যেসব
  • সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও, পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশগামী/ বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জন্যেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জরুরি সেবাকাজ যেমন গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেটের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা কাজ করবেন। তাদের নিয়ে পরিবহন চলাচল করতে পারবে।
  • সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, আদালত ও বেসরকারি অফিস শুধু জরুরি কাজ করবে। এদের নিজস্ব পরিবহন চলবে।
  • শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চলবে। শিল্পকারখানার শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল করতে হবে।
  • অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে।
  • কাঁচাবাজার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
  • ব্যাংকিং–ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে, সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
  • খোলা থাকবে বইমেলাও। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলার দরজা খোলা থাকছে।
  • সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সীমিত পরিসরে ফিল্ড হাসপাতাল করবে।
  • লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পরিচালিত হবে। জামিনসহ সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি বলে গণ্য হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে। 
  • এ ছাড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সীমিতভাবে চলবে।

গত বছরের ৮ মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক পর্যায়ে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকলেও লডকাউনের পথে হাঁটেনি সরকার। গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ে দফায় দফায়। শেষ পর্যন্ত ৬৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এক বছর পর সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আবারও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলো সরকারকে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত