শুক্রবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ || ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

০২:২৫, ১০ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ০৩:২৯, ১০ জানুয়ারি ২০২১

৭৪০৯

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`

চারদিকে স্বাধীন দেশের পতাকা, বিজয় উল্লাস। তারপরেও স্বস্তি নেই বাঙালির মনে। দেশ স্বাধীন হলেও যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা,সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ।

ফলে স্বাধীনতা এলেও নেতার অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল বিজয়ের গৌরব উদ্‌যাপনে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি আসে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু,ফিরে আসেন স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়।

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় পায় পূর্ণতা। ১০ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় পৌঁছানোর পর আনন্দে লাখো জনতা ফুল আর আনন্দ অশ্রুর মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় প্রিয়নেতাকে। 

নেতাকে ফিরে পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।

মানুষ বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়। বিকেল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

প্রায় কুড়ি মিনিটের সেই আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দিদশায় তিনি ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন, বাঙালিকে কেউ ‘দাবায়ে রাখতে’ পারবে না।

“যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কি-না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।”

শুরুতেই অর্থাৎ, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাকে বন্দী করে রাখা হয় পাকিস্তানের কারাগারে। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে,বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। 

বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি স্বাধীন স্বদেশের বুকে ফিরে আসেন।

দেশে ফেরার দিন বঙ্গবন্ধু সেদিন উৎফুল্ল জনতার উদ্দেশ্যে ডাক দেন আরেক যুদ্ধের। সেই যুদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। কিন্তু সমস্ত জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করে গেছেন, বাঙালি চাইলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করতে পারে।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত