বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের শর্ত শিথিল ও দণ্ডাদেশ মওকুফের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ কথা জানিয়েছেন স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন হাতে পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

**খালেদা জিয়ার মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন

বুধবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদনটি গতকাল মঙ্গলবার আমার হাতে দিয়েছেন। এতে শর্ত শিথিল করারও আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত জানাব। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী। তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নেবেন বলে আমরা আশা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবেদনে সাজা মওকুফ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি বেগম জিয়ার পরিবার অনুরোধ করেছে। বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি তার বাসাতেই হবে, বাসার বাইরে তিনি যাবেন না। 

এর আগে, মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকা খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এই আবেদন করা হয়। আবেদনের পর স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে সেটি পাঠিয়ে দেন সচিবের দপ্তরে।

শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৪ মার্চ। খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছিলেন। শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে তিনি প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। পরে সেপ্টেম্বরে এই মুক্তির মেয়াদকাল আরও বাড়ানো হয়।