মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেট দেশে
মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেট দেশে
প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন সেটের পর দেশে এসেছে মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেট |
প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন সেটের পর দেশে এসেছে মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেট। সেগুলো মোংলা থেকে এখন ঢাকায় আসার অপেক্ষায়।
ট্রেন দুটির সেট গত মঙ্গলবার মোংলা সমূদ্রবন্দরে পৌঁছায় বলে শনিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ মেট্রো ট্রেন সেট ২২ জুন জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর হতে জাহাজে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ২০ জুলাই মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। ওই দিনই মেট্রো ট্রেন সেটিদুটো মোংলা বন্দরে নামানো সম্পন্ন হয়।
আরও বলা হয়, শুল্ক ও ভ্যাট সম্পর্কিত কার্যাদি শেষে বার্জ যোগে মেট্রো ট্রেন সেট দুটি নদী পথে আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকার উত্তরার ডিএমটিসিএল ডিপোতে এসে পৌঁছাবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় আসার পর দুটি ট্রেনের সেট কয়েক দফা পরীক্ষার পর সংযুক্ত করা হবে। জাপান ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা এসব কাজ সম্পন্ন করবেন।
গত ২১ এপ্রিল মেট্রোট্রেনের প্রথম সেটটি জাপান থেকে ঢাকায় এসে পৌছায়, যা ফার্স্ট ট্র্যাক করা সরকারি প্রকল্পটির জন্য একটি বড় ধরনের মাইলফলক। ১২ মে বাংলাদেশের প্রথম বিদুৎ চালিত এই ট্রেন উত্তরা ডিপোর ভেতরেই ৫০০ মিটার এলাকায় চালিয়ে দেখা হয়। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প (লাইন-৬) বাস্তবায়িত হচ্ছে। কোচগুলো জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম কোম্পানি লিমিটেড তৈরি করছে। বাংলাদেশে এই কোচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-০৮-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবিএম আরিফুর রহমান জানান, মেট্রোরেলের লাইন-৬ কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-০৮-এর আওতায় ২৪টি যাত্রীবাহী রেল কোচ আমদানি করা হবে। প্রতিটি কোচে ছয়টি বগি থাকবে। এমন একটি প্যাকেজে শুল্কসহ প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যে ২৪টি জাহাজে মোট ১৪৪টি বগি মোংলা বন্দর থেকে খালাস হবে।
দেখতে কেমন হবে মেট্রোরেলের ট্রেন সেট
মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙে রঙ করা থাকবে। ট্রেন সেটের বডি এবং ভিতরের কাঠামোর সবকিছুই স্টেনলেস স্টিলে তৈরি করা হচ্ছে। কোচে ব্যবহৃত গ্লাসগুলো থাকবে বুলেটপ্রুফ। এই ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় এক শ কিলোমিটার।
ঢাকার যানজট নিরসনসহ নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে এই মেট্রোরেল প্রকল্পের মাধ্যমে সব কটি পয়েন্টে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রত্যেকটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কার বা কামরা। একেকটি কোচে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী যেতে পারবেন। চলাচল শুরু হলে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের।
যাত্রী যাতে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারেন সে ব্যবস্থও থাকবে। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটগুলো লম্বালম্বি পাতা থাকবে, প্রতিটি কোচে প্রতিবন্ধী কিংবা বয়ঃবৃদ্ধদের যারা বসতে পারবেন না তাদের জন্য থাকবে দুটি করে হুইলচেয়ার।
প্রতিটি ট্রেনে ৬টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধুমাত্র নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। বাকিগুলোতে নারী পুরুষ উভয়ই একসঙ্গে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`