স্ত্রী-সন্তানসহ এক যুবকের হত্যাকারী পুলিশের এসআই সৌমেন
স্ত্রী-সন্তানসহ এক যুবকের হত্যাকারী পুলিশের এসআই সৌমেন
হত্যাকারী পুলিশ এসআই সৌমেনকে পুলিশ জিজ্ |
কুষ্টিয়া শহরে এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে এবং এক যুবককে হত্যা করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্ত্রী আসমা, ৩৪ কে মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন পুলিশের ওই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়। ঘটনাস্থলেই আসমা মারা যান। পরে তার সঙ্গে থাকা শাকিল নামের যুবকটিকে গুলি করেন। এ সময় রবিন নামের শিশুটি পালানোর চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করেন সৌমেন। শাকিল ও রবিনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
পুলিশ হেফাজতে এই এসআই সৌমেনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
রবিবার (১৩ জুন) সকাল ১১টায় শহরের ম.আ. রহিম সড়কের (পিটিআই রোড) কাস্টমস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের বাসিন্দা মেজবার খানের ছেলে বিকাশকর্মী শাকিল খান (২৮), আসমা খাতুন (৩৪) এবং শিশু রবিন (৭)।
**কুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে শিশুসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা
এএসআই সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। পুলিশের ধারণা, এএসআই সৌমেনকে দেওয়া পিস্তল দিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশসূত্র বললেন, কুষ্টিয়াতে হালসা ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকার সময়ে সৌমেনের সঙ্গে বিকাশকর্মী শাকিলের পরিচয় হয়। তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
শাকিলের বাড়ি কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের সাওতাকারিগর পাড়ায়। তারই প্রতিবেশী আসমা আক্তার। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর আসমা তার ছেলে রবিনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকছিলেন।
পুলিশ জানায়, এএসআই সৌমেনের সঙ্গে দেড় বছর আগে আসমার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর তারা বিয়ে করেন। তবে ধর্মীয় কারণে এই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। সম্প্রতি সৌমেন পরিবারের ইচ্ছায় আরেকটি বিয়ে করেন। এর আগে কুষ্টিয়া থেকে বদলি হয়ে তিনি খুলনার ফুলবাড়িয়ায় চলে যান।
নিহত আসমার মা হাসিনা খাতুন বলেন, সকালে সৌমেন স্ত্রী-সন্তানকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তারা।
ঘটনা-
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাস্টমস মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে এক নারী চার বছরের ছেলেশিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সেখানে এক পুরুষ ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তি প্রথমে ওই নারীর মাথায় গুলি করেন। এরপর পাশে থাকা পুরুষের মাথায় গুলি করেন। ভয়ে ছেলেশিশুটি দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও ধরে মাথায় গুলি করা হয়।
আশপাশের লোকজন গুলি করা ব্যক্তিকে ধরতে গেলে তিনি দৌড়ে তিনতলা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে ওই ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সৌমেনকে গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজন নারী, একজন শিশু ও একজন পুরুষকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তিনজনকেই মৃত পান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`