পাকিস্তানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
পাকিস্তানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সব টেস্ট হারের রেকর্ড নিয়েই চলমান সিরিজের প্রথমটিতে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ১৩টি ম্যাচের ১২টিতে হার আর ১টি ড্র- ম্যান ইন গ্রিনদের বিপক্ষে এটিই ছিল টাইগারদের পরিসংখ্যান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের খেলা চৌদ্দতম টেস্টে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় ইনিংসে শান মাসুদের দল ১৪৬ রানে অল আউট হলে নাজমুল শান্তদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে ভিড়ে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ক্রিকেট খেলেছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং সাদমান ইসলাম। শাহিন শাহর করা প্রথম ওভারেই একটি বাউন্ডারি হাঁকান জাকির। এরপর নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় ওভারে লেগ বাই থেকে আসে ২ রান। চতুর্থ এবং পঞ্চম ওভারে আরও দুইটি বাউন্ডারির দেখা পান দুই ওপেনার।
ছয় ওভার শেষে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন জাকির। ঐতিহাসিক জয়ের এই ম্যাচে জাকির ১৫ রানে এবং সাদমান অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।
এর আগে ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে আজ পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে আজ শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়েছে স্বাগতিকরা। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছেন শান মাসুদ। এরপর জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাবর আজম। দলের বাকি ব্যাটাররাও আর এরপর সুবিধা করে ওঠতে পারেননি। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা এই ব্যাটার আজও করেছেন ৫১ রান, তাঁর দায়িত্বশীল এই ইনিংসের সুবাদেই ১৪৬ রানের দেখা পায় স্বাগতিকরা।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে আজ পঞ্চম দিনে ভালোই সুবিধা পেয়েছেন টাইগার স্পিনাররা। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে যেন আজ চেনা ছন্দে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। দিনের শুরুতেই পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটার সৌদ শাকিল এবং আব্দুল্লাহ শফিককে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। পরে নাসিম শাহর উইকেটও নিজের ঝুলতে পুড়েছেন তিনি।
সাকিবের সঙ্গে এ দিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আরেক অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং সালমান আঘা সহ মোট ৪টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। এদিকে দিনের শুরুতে উইকেট নেয়ার শুরুটা করেছিলেন হাসান মাহমুদ। টাইগার এই পেসারের বলে আউট হন শান মাসুদ। এরপর শরিফুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হতে পারতেন বাবর আজম, তবে লিটন ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জীবন পান তিনি।
তবে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে ২২ রানেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমেছিল গতকাল চতুর্থ দিনের শেষে। গতকালই ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ১৭১ আর সৌদ শাকিলের ১৪১ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। এরপর ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭৭ রান করে দলকে ১২৭ রানের লিড এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন মিরাজ। এর আগে লিটন দাস এবং মমিনুল হকও পেয়েছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান