বাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ১ এপ্রিল
বাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ১ এপ্রিল
বঙ্গবন্ধু ঙ্গশেখ মজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে সমালোচনা ও হুমকি দেওয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করিমর বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ফলে বিচারক নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মামলাটি দায়ের করেন। একইদিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই সময় মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামুনুল হকের মামলাতে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্ত্বর হবে।’ সমাবেশে যুব মজলিসের কর্মীদের এ জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
মামলায় সৈয়দ ফয়জুল করিম সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর এ আসামি যাত্রাবাড়িস্থ গেন্ডারিয়ায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে , আন্দোলন করবো, সংগ্রাম করবো, জিহাদ করবো।
বাবুনগরী সম্পর্কে বলা হয়, মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের পরামর্শ অনুসারে গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে তিনি বলেছেন, মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না। ভাস্কর্য নির্মান থেকে সড়ে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন।
আসামিদের এধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করেছেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`