ইসি গঠনের বিল সংসদে উত্থাপন, বৈধতা পেতে যাচ্ছে সার্চ কমিটি
ইসি গঠনের বিল সংসদে উত্থাপন, বৈধতা পেতে যাচ্ছে সার্চ কমিটি
সংসদে ইসি নিয়োগের বিল উত্থাপন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক |
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত খসড়া আইন জাতীয় সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হয়েছে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে আলোচিত 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২' উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পরবর্তী প্রক্রিয়া-
বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেই বিলটি পাঠানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটি তাদের মতামত জানাবে।সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসি গঠনে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকে আইনি ভিত্তি দিতে বিলটি আনা হয়েছে।
২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াটি আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। প্রস্তাবিত এই আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এবং থাকছে সার্চ কমিটি।
এ আইন করার উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বিলে বলেছেন, 'প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায়।'
বিলে বলা হয়েছে, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।'
বিলটির ওঠানোর জন্য আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনটিকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেন। যদিও হারুনের আপত্তি সংসদের ভোটে টেকেনি।
পাঁচ দিন বিরতির পর রবিবার বেলা ১১টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন আবার শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন ও পাস করে গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য হাতে চার সপ্তাহ সময় রয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`