শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ || ২১ বৈশাখ ১৪৩১ || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাখা অবদান তাকে অম্লান করে রাখবে

নিউজ ডেস্ক

১১:১৬, ৪ মার্চ ২০২১

আপডেট: ১১:২৩, ৪ মার্চ ২০২১

৭০৮

মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাখা অবদান তাকে অম্লান করে রাখবে

এইচটি ইমামের মৃত্যুতে শোক
এইচটি ইমামের মৃত্যুতে শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)-এঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও শোক জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসউইং থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীদের দফতর থেকে তাদের পক্ষে শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে। এসব শোকবার্তায় সকলে এইচটি ইমামের অবদানকে স্মরণ করেছেন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। 

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, এইচ টি ইমামে মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিসে জনাব এইচ টি ইমামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পুরো সময়টাও তিনি একই পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এইচটি ইমাম আমার প্রশাসনিক উপদেষ্টা হিসেবে এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অত্যন্ত প্রজ্ঞার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করেন। জাতির পিতার আদর্শের এই কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দলকেও সমৃদ্ধ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শোকবার্তায় বলেন, এইচ টি ইমাম পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তার  দক্ষ প্রশাসনিক নেতৃত্ব  মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী  সরকারের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছে। তার মৃত্যুতে জাতি একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক ও প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে হারালো। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এইচ টি ইমামের নাম  স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি শোকবার্তায় বলেন, এইচটি ইমাম দেশপ্রেম, বীরত্ব. মেধা ও অনন্য প্রতিভা এবং প্রগতিশীল চিন্তার জন্য নিজেকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনি শুধু সাহসিকতার দৃষ্টান্তই স্থাপন করেননি তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করে প্রবাসি সরকারের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবেও তিনি দেশ পুণগর্ঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন এইচটি ইমামের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে হারালো আর আমরা হারিয়েছি একজন অতি আপন জন-অভিভাবক। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান তাকে অম্লান করে রাখবে যুগ যুগ মহাকাল। তার মৃত্যুতে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কোনদিনও পুরণ হবার নয় বলে ডা.দীপু মনি উল্লেখ করেন। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, এইচটি ইমাম দেশপ্রেম, বীরত্ব. মেধা ও অনন্য প্রতিভা এবং প্রগতিশীল চিন্তার জন্য নিজেকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনি সাহসিকতার দৃষ্টান্তই স্থাপন করেননি তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করে প্রবাসি সরকারের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবেও তিনি দেশ পুণগর্ঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছেন।

মোস্তাফা জব্বার এইচটি ইমামের সাথে ২০০৫ সাল ধেকে ২০০৮ এর নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন পরিচালনাসহ অন্যান্য সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটিতে কাজ করার সময়কালীন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, এইচটি ইমামের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে হারালো আর আমরা হারিয়েছি একজন অতি আপন জন-অভিভাবক। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান তাকে অম্লান করে রাখবে যুগ যুগ মহাকাল। তার মৃত্যুতে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কোনদিনও পুরণ হবার নয় বলে জনাব মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এইচ টি ইমামের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এইচ টি ইমামের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এইচ টি ইমাম মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দক্ষতার সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। তার মতো বিচক্ষণ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক, বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ গঠনে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্ত স্মরণ রাখবে। তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে  বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হল । 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে এবং নারায়নগঞ্জ জেলার জনগনের পক্ষ থেকে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন,  মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতাত্তোর দেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে মনে রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এইচ টি ইমামের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এইচ টি ইমামের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক হিসেবে তিনি সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে ও স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠ্য জনসেবা জাতি দীর্ঘকাল স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন,  এইচটি ইমাম দেশপ্রেম, বীরত্ব. মেধা ও অনন্য প্রতিভা এবং প্রগতিশীল চিন্তার জন্য নিজেকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনি শুধু সাহসিকতার দৃষ্টান্তই স্থাপন করেননি তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করে প্রবাসি সরকারের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবেও তিনি দেশ পুণগর্ঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এইচটি ইমামের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে হারালো আর আমরা হারিয়েছি একজন অতি আপনজন-অভিভাবক। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান তাকে অম্লান করে রাখবে যুগ যুগ।  তার মৃত্যুতে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কোনদিনও পুরণ হবার নয়। 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন কর্মজীবনে এইচ টি ইমাম একজন দক্ষ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ইস্তফা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে তিনি একজন দক্ষ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ইস্তফা দিয়ে দেশের পক্ষে কাজ করেন। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, "তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিষ্ঠাবান কর্মবীরকে হারালো এবং আওয়ামী লীগ হারালো একজন বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতাকে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী "মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এইচ টি ইমাম মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি দক্ষতার সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতো বিচক্ষণ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এইচ টি ইমাম এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মত বিচক্ষণ ব্যক্তির মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এবং উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম শোকবার্তায় বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি আমৃত্যু কাজ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেও রেখেছেন দক্ষতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর। জাতি তাঁর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।"

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত