লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশে ২০২০ সালে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৬%
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশে ২০২০ সালে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৬%
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ |
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে ২০২০ সালে এর নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৬%। ফ্রি ক্যাশ ফ্লো গত বছরের তুলনায় শতকরা ৩২ ভাগ বেড়ে ৩,৬৫৭ মিলিয়ন টাকা হয়েছে, ক্যাশ কনর্ভাশন হয়েছে শতকরা ৮৯ ভাগ। আর্থিক ফলাফল অর্জনে বড় ভূমিকা রেখেছেব্যয় সংকোচন ও দক্ষতা বৃদ্ধি।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ'র পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে প্রতিষ্ঠানটি প্রধান নির্বাহীকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এই আর্থিক ফলাফলকে চমকপ্রদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হেলথ, কস্ট এবং ক্যাশ এই তিন বিষয়ে আলোকপাত করার কারনেই কোম্পানি দারুন এই ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে। সেই সাথে ডিজিটাল পদক্ষেপ ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা এই ফলাফল অর্জসে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের সকলকর্মী ও সরবরাহকারীদের কঠোর পরিশ্রম এবং আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার বিনিময়েই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২ মার্চ) লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর পরিচালনা পর্ষদের সভায় শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরে ১০% চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারনে ২০২০ সালে কোম্পানির নিট বিক্রি আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৯ ভাগ কমে ১৬,২২২ মিলিয়ন টাকা হয়েছে। ২০১৯ সালে এর পরিমান ছিল ১৭,৮৪০ মিলিয়ন টাকা। ২০২০ সালে কর পূর্ববর্তী পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে শতকরা ১ ভাগ বেড়ে ২,৯৫৪ মিলিয়ন টাকা হয়েছে। অপরদিকে ২০২০ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাড়িয়েছে ২,৩৬১ মিলিয়ন টাকা যা আগের বছরের চেয়ে শতকরা ৩৬ ভাগ বেশি। ২০১৯ সালে কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১,৭৩৭ মিলিয়ন টাকা। ব্যয়সংকোচন ও লাফার্জ হোলসিম একীভূতকরনের কারনে কর সুবিধা এতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
২০২০ সালে লাফার্জ হোলসি মবাংলাদেশ ‘হোলসিম ওয়াটার প্রটেক্ট’ নামে বিশেষায়িত সিমেন্ট বাজারে এনেছে এবং গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল অ্যাপ উদ্বোধন করেছে যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। ২০২০ সালে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, কন্ট্রাক্ট নেগোসিয়েশন এবং উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির কারনে তুলনামূলক কম ভলিউম গ্রোথ এর প্রভাব হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালে কোম্পানির ফিক্সড কস্টও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। কোম্পানির কস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং পরিচালস দক্ষতা মহামারীর বছরেও নিজস্ব গতি ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার মাধ্যমে বাজরের উর্ধ্বমুখী চাহিদার সুবিধা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
করোনা ভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও বাংলাদেশের রেকর্ড প্রবৃদ্ধির ধারা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক নীতির উপর ভর করে আগামীতেও ভালো ফলাফল করার ব্যপারে আশাবাদী লাফার্জ হোলসিম। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের কারণে গ্রামীন এলাকাগুলোতে উন্নয়ন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি প্রকল্পের সাথে যুক্ত হবে গ্রামীন উন্নয়ন, ফলে চাহিদা বাড়বে সিমেন্টের।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`