হাতিরঝিল থেকে ডেমরা যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট
হাতিরঝিল থেকে ডেমরা যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট
প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার |
হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ককে ৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করবে সরকার। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ১০ মিনিটেই এই দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) ভিত্তিক প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় হোটেল কন্টিনেন্টালে প্রকল্পের আওতায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের চুক্তি সই হয়। চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) ও চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) সঙ্গে এ চুক্তিসই হয়।
হাতিরঝিল থেকে ডেমরা পর্যন্ত এখনকার রুটটি ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটারের। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তা ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। আর ১ ঘণ্টার পরিবর্তে তখন লাগবে ১০ মিনিট। তবে এটি ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে ২১ বছর।
প্রকল্পের আওতায় দুটি ব্রিজ, চারটি ইন্টারসেকশন, দুটি কালভার্ট, একটি ওভারপাস, ফুটওভারব্রিজ ও টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে। চার বছর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পিত উড়ালসড়কটি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকার কেন্দ্রে আসার বিকল্প প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এটি যানজট কমাতেও সহযোগিতা করবে।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগকে আমরা উৎসাহিত করে সরকারের সড়কখাতে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্প সই হলো। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা জানি সরকারের বাজেটে নানা ধরণের প্রকল্প হচ্ছে। পাশাপাশি পিপিপি মডেলেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সওজ এই মুহূর্তে ৬টি পিপিপি প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ঢাকা বাইপাস রোডকে ৪ লেন এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলো প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে আছে। তার মধ্যে এটা অন্যতম প্রকল্প।’
পিপিপি প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘পিপিপি প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা কাজ করি। এই প্রকল্পে চায়না কমিউনিকশনস কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের কনসোর্টিয়াম ২ হাজার ৯৪ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট, এই দুটি জাতীয় মহাসড়ক ঢাকার সঙ্গে দেশের প্রধান ২টি শহরকে যুক্ত করেছে। তবে ব্যস্ততম এই দুটি মহাসড়কের প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ।‘
মহাসড়ক ধরে যানবাহন ঢাকায় ঢোকার পর তা সড়কে ব্যাপক চাপ তৈরি করে। এতে করে প্রায়ই শহরের দক্ষিণ অংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।তাই ঢাকার যানজট কমাতে ও শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বিকল্প প্রবেশদ্বারের জন্য বিদ্যমান হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা রুটটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`