শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রূপপুরে প্রথম ইউনিটে চুল্লিপাত্র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১২:১৬, ১০ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৬:৩২, ১০ অক্টোবর ২০২১

৩৮২

রূপপুরে প্রথম ইউনিটে চুল্লিপাত্র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে এ চুল্লি স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে এ চুল্লি স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃৎপিণ্ড হিসেবে পরিচিত রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে বড় ধরনের অগ্রগতির সূচনা হলো। রবিবার (১০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরমাণু চুল্লিপাত্র উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ এবং প্রকল্পের বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা।

** রূপপুরে প্রথম ইউনিটে চুল্লী পাত্র স্থাপন রবিবার

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে এ চুল্লি স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হয়। রাশিয়া থেকে এ চুল্লি দেশে আসে ২০২০ সালের অক্টোবরে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার (আইইএ) মান অনুসরণ করে এ চুল্লিপাত্র স্থাপন করা হচ্ছে। 

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০২৩ সালের এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় রূপপুর কর্তৃপক্ষ। আর ২০২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

রূপপুরের কর্মকর্তারা বলছেন, রূপপুরে ইউনিট–১–এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে চুল্লিপাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ ইউনিটের কাজ প্রায় শেষ বলা যায়। এ যন্ত্রের মধ্যেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম লোড করা হয়।

এরপর আগামী নভেম্বরে স্টিম জেনারেটর স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাঠামোয় পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন শেষ হবে। চলতি বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হবে বলে জনিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া।একই সাথে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রুশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া।

রূপপুর কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। এগুলো সময়মতো প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো হচ্ছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব যন্ত্রপাতি দেশে চলে আসবে। দেশেও প্রতিটি কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। দিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার লোক কাজ করার কথা থাকলেও রূপপুরে ২৫ থেকে ২৬ হাজার কর্মী কাজ করছেন প্রতিদিন।


 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত