শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নির্বাচনের ২ বছর পর পরাজিত প্রার্থী হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা

১৬:৩৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৬:৫৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

৪৭৫

নির্বাচনের ২ বছর পর পরাজিত প্রার্থী হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু ও গোলাম সরোয়ার ফোরকান
সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু ও গোলাম সরোয়ার ফোরকান

বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে নির্বাচনের দুই বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। 

২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে অংশগ্রহণ করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান। পরে ঋণ খেলাপির দায়ে ফোরকানকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণার জন্য ওই বছরের ২১ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন ছজু।

এ মামলায় বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এক আদেশে বুধবার ছজুকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফোরকানকে আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়া নিজের মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সের নামেও এক বছর মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে। যথা সময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।

২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।

পরে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোরকানের ঋণ খেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। পরে আদালত সকল তথ্য যাচাই বাছাই ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফোরকানকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আদেশ দেন।

এ বিষয়ে শামসুদ্দিন আহমেদ ছজুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, গোলাম সরোয়ার ফোরকান ২০১৩ সালে তার নিজ নামে এবং তার মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সের নামে এক বছর মেয়াদে পটুয়াখালীর রুপালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঋণ তোলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তার ঋণের অনুকূলে শতভাগ সুদ মওকুফের জন্য রুপালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর এক বছরের মধ্যে প্রদানের জন্য ৮০ ভাগ সুদ মওকুফ করেন। এ টাকাও তিনি যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।

আইনজীবী আরও বলেন, গোলাম সরোয়ার তার ঋণ খেলাপির এসব তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। পরে আমার মক্কেল নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি করে ফোরকানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত আজ এ রায় দেন।

তবে এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান এবং অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান নান্টুর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত