অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য সাতক্ষীরায় নেয়া হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে। 

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করা হলে সময় প্রার্থনা করেন সাহেদের আইনজীবী এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিকী। সে আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি)  অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক।

এরপর তাকে আবারো সাতক্ষীরা কারাগারে নেয়া হয়। আলোচিত মামলা দুটিতে সাহদেই একমাত্র আসামী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে সাহেদ করিম। বোরকা পরিহিত সাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রিজের নীচ থেকে আটক করে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। এসময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয় রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। 

এঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় সাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রথমে দায়িত্ব পান দেবহাটা থানার ওসি উজ্জল কুমার মৈত্র। দুইদিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ডে নেন সাহেদকে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র সাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।