বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শিল্পকলায় মৌলিকতা

মূল: জর্জিও গুগলিয়েমিনো  অনুবাদ: আসাদ আলম সিয়াম

১১:৪৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১২:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

১০৭৫

শিল্পকলায় মৌলিকতা

ছবি: সংগৃহিত
ছবি: সংগৃহিত

[জর্জিও গুগলিয়েমিনো একজন লেখক ও সমকালীন চিত্রকলার সংগ্রাহক। শিল্পকলার উপর ইংরেজীতে তার বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ‘ How to Look at Contemporary Art’ এবং ‘ This is now: A Geographical Guide to Cutting-Edge Contemporary Art’ অন্যতম। তিনি নিয়মিতভাবে ইতালীর ‘Il Giornale dell’ Arte’ পত্রিকায় কলাম লেখেন। তিনি বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রদর্শনী তত্বাবধান করেছেন। পেশায় জর্জিও একজন কুটনীতিক। তিনি বাংলাদেশে ইটালীর রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফিলিপাইনে ইটালীর রাষ্ট্রদূত।
অনুদিত প্রবন্ধটি ফিলিপাইনের এনভিল প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত  তাঁর ‘The Originals, 30 artists that shaped contemporary art’ গ্রন্থটির মুখবন্ধ The Originals  এর অনুবাদ] 

একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সমকালীন চিত্রকলার দৃশ্যপটে যে বিবর্তন ঘটেছে, তার সবচেয়ে দৃশ্যমান দুটো বৈশিষ্ট্য হলো – খুব দ্রুত তথ্যের আদান প্রদান সম্ভব হওয়া এবং শিল্পকর্মের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া।
বিশেষায়িত ওয়েবসাইট (যেমন, www.artnet.com; www.artsy.net), নিলামকারি প্রতিষ্ঠান ( যেমন, ক্রিস্টিস, সথেবিস, ফিলিপ্স), এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( প্রধানত ইনসটাগ্রাম) এর মাধ্যমে শিল্পকলা সম্পর্কে যে দ্রুত তথ্য বিনিময় ঘটে চলেছে, তার ফলে অতীতের প্রথামাফিক শিল্পকলার অনুরাগী বা শিল্পকর্মের ক্রেতাদের জন্য গ্যালারীর অধিকারীর সাথে যে দৃঢ় বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলবার এবং তা উপভোগ করার দরকার ছিলো, তার প্রয়োজনীয়তা উত্তরোত্তর ফুরিয়েছে। কয়েকটা ক্লিকের মাধ্যমে মাত্র কয়েক মুহূর্তেই শিল্পকলার নিলাম বিষয়ক যে আন্তর্জালিক তথ্যভান্ডারগুলো রয়েছে তারা শিল্পকর্মের নিলাম সম্পর্কে বিনা মূল্যে পরামর্শ প্রদান করে থাকে – তারা একটা শিল্পকর্মের যে দাম কোনো গ্যালারী  চাইতে পারে এবং নিলামে তার যে দাম চাওয়া হয়েছে তার একটা তাৎক্ষনিক তুলনামুলক চিত্র উপস্থাপন করে থাকে। অবশ্য, এ ধরণের তুলনামুলক বিচার প্রায়শই বিভ্রান্তিকর, কারণ, এই বিচার দুটো শিল্পকর্মের শৈলীর সাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে, ঐ নির্দিষ্ট শিল্পকর্মের প্রকৃ্ত গুনগত মান বিচার করে করা হয়না।

অন্যদিকে, সমকালীন চিত্রকলার চাহিদা বৃদ্ধির প্রধানত দুটো কারণ রয়েছেঃ প্রথমত, সংগ্রাহকের সংখ্যা বৃ্দ্ধি পেয়েছে, অথবা বলা ভালো যে চিত্রকর্ম কেনার সামর্থ্য রয়েছে বা কিনতে চান এমন আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, এবং দ্বিতীয়ত, সমকালীন শিল্পকলা সংগ্রহ করা এখন চলতি ফ্যাশনের অংশ হয়ে গেছে – যা কিনা সংগ্রাহককে সামাজিক মর্যাদা দেয়, এবং সমকালীন শিল্পকর্ম, স্পোর্টস কার বা ইয়টের মতোই সামাজিক উত্তোরণের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শিল্পকলার চাহিদার এই বিপুল বৃদ্ধির ফলে তা মেটাবার জন্য শিল্পকর্ম বিক্রি করবার সুযোগেরও সম্প্রসারণ ঘটেছেঃ প্রথমত, শিল্পকর্মের নিলামের মাধ্যমে, এবং দ্বিতীয়ত, নিলামের বাইরেও শিল্পকলার জন্য আয়োজিত মেলার মাধ্যমে। কখনো কখনো একই বছরে একই শহরে একাধিক শিল্পকলার মেলা আয়োজিত হয়ে থাকে – যেমন নিউইয়র্ক, যেখানে মার্চ মাসে ‘আর্মারি’ ( Armory) আয়োজন করা হয়, আবার ঠিক দু’মাস পরেই ‘ফ্রিজ’ (Freize) আয়োজন করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, গ্যালারীগুলোও এক বা দুই প্রজন্মের আগের শিল্পীদের আরো ঘন ঘন পূনরাবিস্কার করতে শুরু করেছে (হালে সত্তরের দশকের শিল্পীদের কাজ পূনর্ব্যাখার জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে)। এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হলো,  রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে তাদেরকে থেকে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা এবং বিশেষ করে নারী শিল্পীদের প্রতি আরো মনোযোগ দেয়া।

বলতে গেলে, এই হলো আজকের সমকালীন শিল্পকলার দৃশ্যপটঃ শিল্পকলাকে বাজারজাত করবার নানা কৌশলে পূর্ণ, খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে চান এমন সব সন্ধানী লোকের ভীড়ে আক্রান্ত; আর এমন সব শিল্পকর্মে ভরপুর যেগুলো কিনা অল্প ক’দিন পরেই মূল্যহীন হয়ে পড়বে। দিন বদলে গেছে; মার্কিন শিল্পী এড রাসা তাঁর নিজের শিল্পকর্মে যেমনটি লিপিবদ্ধ করেছেন – ‘This was then, it is now’।
অন্যদিকে, শিল্পীদেরই  বা খবর কি?
শিল্পকর্মের এই বর্ধিষ্ণু চাহিদা মেটানোর জন্য যেসব শিল্পীদের কাজ মোটামুটি উচুঁ দামে বিক্রী হয়, তাদেরকে আরো বেশী বেশী কাজ করবার এবং সেগুলোর দামের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার চাপের মধ্যে পড়তে হয়। বহু শিল্পীই ‘কম থেকে বেশী দাম’ এই ক্রমে কাজ করে থাকেন ও তাদের শিল্পকর্মের দাম রাখেনঃ যেমন,সর্বপ্রথমে সহজ কোন বিষয়বস্তু, দৈনন্দিন ব্যবহার্য থেকে যার পার্থক্য সামান্যই, তারপর সীমিত সংস্করণের কাজ, কাগজের ওপর করা কাজ, তারপর ভাস্কর্য বা পেইন্টিং, এরকম।  অনেক কাজ করবার চাপ খুব তীব্র হতে পারে, অথচ সকল শিল্পীইতো আর মাঝারী ধরণের কারখানা আকারের স্টুডিও রক্ষণাবেক্ষণের সামর্থ্য থাকে না (উদাহরণ স্বরূপ জেফ কুন্স, ডেমিয়েন হার্স্ট বা আই ওয়েওয়ে এর স্টুডিওর কথা বলা যেতে পারে, যেখানে ডজন খানেক সহকারী নিয়মিত কাজ করে থাকেন) ।

অন্যদিকে, মাঝারী বা কম মানের যে শিল্পীরা রয়েছেন, তাদের খবর কি? বলতে দুঃখ হচ্ছে, তারা কিন্তু প্রায়ই তাদের চেয়ে আরো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের কাজের অনুকরণে নিজেরদেরকে পুরোপুরি নিয়োজিত রাখেন। এটা অভাবনীয় যে এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন যেকোন শিল্পকর্মের ছবিই খুব সহজেই সর্বত্র ছড়িয়ে পরে, তবুও এমনটাই ঘটছে।
অতীতের বা সমসাময়িক বিখ্যাত মহান শিল্পীসব – যারা কিনা শিল্পান্বেষায় বা মৌলিকতায় প্রাগসর – তাদের সাথে শিল্পী হিসেবে বোঝাপড়া করবার অথবা তাদের শরণাপন্ন হবার জন্য বর্তমানের বা অন্য শিল্পীদের মুলত তিনটি উপায় রয়েছে।

সর্বপ্রথমে, প্রত্যেক শিল্পীই শিল্পী হিসেবে একটা কৈশরিক পর্যায় অতিক্রম করেন যখন তারা শিল্পকলার কোন নিদির্ষ্ট তাৎপর্যের জন্য কিছু মহান শিল্পীকে নির্বাচন করেন এবং তাদের কোন কোন শিল্পকর্ম পূননির্মান করেন। এটা তারা ঐসব শিল্পীদের অন্ধ অনুকরণ করবার জন্য করেন না বরং তাদের অংকনশৈলী শিখবার জন্য বা নিজেদের সংবেদনশীলতাকে আরো পরিশীলিত করবার জন্য এবং যেসব ধাপের মধ্য দিয়ে ঐ সব মহান শিল্পীদের এক একটা শিল্পকর্ম ঐ নির্দিষ্ট শিল্পকর্মটি হয়ে উঠেছে তা অনুধাবন করবার জন্য করে থাকেন। যখন আর্শাইল গোর্কি পিকাসোর ছবিই আবার আঁকেন, তখন তিনি চিত্রকর্মের বাজারে একটি নকল পিকাসো সরবরাহ করবার অভিপ্রায়ে তা আঁকেন না। বরং এ হচ্ছে ঐ মহান শিল্পী যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর ঐ মহান শিল্পকর্মটি সৃষ্টি করেছেন, সেই প্রক্রিয়ার প্রতি গোর্কির ব্যক্তিগত বোধের প্রতিফলন; যা গোর্কি ভাবোন্মেষ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ঐ মহান শিল্পকর্মের যে ক্রমবিবর্তন ঘটেছে তা হৃদয়ঙ্গম করবার জন্য এঁকেছেন।  

আবার মাইক বিডলো হলেন এমন একজন শিল্পী যিনি যেসব মহান শিল্পীদের শিল্পকর্ম থেকে ধার করে আঁকেন তাদের সাথে তিনি আরো পূর্ণভাবে একাত্মতা বোধ করেন। মাঝেমধ্যে তিনি পিকাসো, দেকিরিকো, পোলোকের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের চিত্রকর্ম হুবুহু নিখুঁতভাবে এঁকে থাকেন যেখানে নিখুঁতভাবে আঁকার উদ্দেশ্যে যে সকল অংকন শৈ্লী ঐসব মহান শিল্পীরা ব্যবহার করেছেন, মোহমুগ্ধের মতো তিনি তাঁর সর্বোচ্চ সমাহার ঘটানোর চেষ্টা করেন, এবং ঐসব অংকন শৈলীর মধ্য দিয়ে বোঝবার চেষ্টা করেন ঐ বিখ্যাত মহান শিল্পীরা কোন অন্তর্নিহিত সৃজনশীলতা থেকে ঐ ভাবে ঐ শিল্পকর্মগুলো সৃষ্টি করেছেন। আগের মতো এক্ষেত্রেও বিডলোর এসব চিত্রকর্মগুলো কিন্তু তাঁর অনুসৃত ঐসব মহান শিল্পীদের চিন্তাভাবনা চুরি করে করা কোনো কাজ নয়।

বিডলোর এই সরল উদ্দেশ্যের স্পষ্ট প্রমান হলো তাঁর কাজের শিরোনামগুলো; যেখানে তিনি যে মহান শিল্পীর কাজকে অনুসরণ করেছেন তাঁর  নামের আগে ‘নয়’ বসিয়ে তাঁর নিজের শিল্পকর্মের শিরোনাম দিয়েছেন। ফলে, আমরা তাঁর শিল্পকর্মের শিরোনাম হিসেবে পাই, ‘পিকাসো নয়’, ‘দেকিরিকো নয়’, ‘পোলোক নয় ‘ এ ধরণের শিরোনামগুলো। আপাতভাবে, বিলডোর এই শিল্পকর্মগুলোকে নিছক অংকন শৈলী চর্চার একটা বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু প্রকৃ্তপক্ষে তা শিল্পকলার একটা নির্দিষ্ট ধারণাগত প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করেছেঃ বিলডো পিকাসোর শিল্পী মননে অনুপ্রবেশ করে হৃদয়ঙ্গম করতে চেয়েছেন কিভাবে পিকাসো এঁকেছেন আর কেনইবা ঐ নির্দিষ্ট অংকন শৈলীতে তা এঁকেছেন।  

এ পর্যন্ত আলোচিত উভয় প্রক্রিয়ারই শৈল্পিক বৈধতা রয়েছে, প্রথমটাতো প্রায় একটা বাধ্যতামুলক পর্যায়, এমনকি বড় বড় শিল্পীদেরকেও এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কেননা অন্য শিল্পীদের মাহাত্ম্য অধ্যায়নের মধ্য দিয়েই নিজের ভাব প্রকাশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব।
এর বাইরেও, অন্য শিল্পীদের অনুগামী হবার তৃ্তীয় একটা পন্থা রয়েছে। যেখানে, কোন উৎস উল্লেখ বা মূল শিল্পীদের কোনধরণের স্বীকৃ্তি প্রদান করা ছাড়াই, অথবা, শিল্পকর্মটি যে মৌলিক নয়, সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সূত্র না দিয়েই, অন্য শিল্পীদের শিল্পভাবনা বা অংকন শৈলীকে পুরোপুরি অনুকরণ করা হয়।
গত কয়েক বছরে ফিলিপাইনে (যদিও এটা যে কোন দেশেই ঘটতে পারে কিংবা কে জানে  হয়তো এই মুহূর্তেই এটা কোথাও ঘটছে) ইন্সটাগ্রামে আমি এমন কিছু ছবি দেখেছি যা মার্কিন শিল্পী রিচার্ড প্রিন্সের শিল্পকর্মের অঘোষিত হুবুহু নকল।
আর একবার আমি কোন এক গ্যালারীতে গিয়েছি এবং আমার মনে হয়েছে যে আমি মেরী ওয়েদারফোর্ডের কিছু মহান শিল্পকর্মের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দাঁড়িয়ে রয়েছি, একটা রৈখিক নিয়ন আলো দিয়ে দ্বিধাবিভক্ত তাঁর বিশাল বিমূর্ত কাজগুলোর সামনে । কিন্তু পরে জানা গেলো যে এটা অন্য কোন এক শিল্পীর প্রদর্শনী, যিনি মেরীর একদম নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে পুরোপুরি অনুকরণ করেছেন।

আরেকবার, ঘটনাচক্রে, আমি পালাওয়ান দ্বীপের ভুবৈশিষ্ট্য সম্বলিত একটা কাঠের তৈ্রী ভাস্কর্যের উপর বসেছিলাম, যা কিনা পনেরো বছর আগে শিল্পী আই ওয়েই ওয়েইর করা ‘ম্যাপ অফ চায়না’ ভাস্কর্যের হুবুহু নকল। ভাস্কর্যের আবছায়া দিক অর্থাৎ যেভাবে তা মসৃণ করা হয়েছে তাও একদম আই ওয়েওয়ের কাজের অনুরূপ।
সত্য কথা হলো, সৃজনশীলতা এবং মৌলিকতা খুবই বিরল। মৌলিক হওয়াটা দুঃসাধ্য এবং বিপননের বিবেচনায় সবসময় তার মূল্যও পাওয়া যায়না। প্রকৃতপক্ষে, শিল্পকলার বাজার বরংচ  গ্যালারীর অধিকারীদের আর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞ বিবেচনায় রয়েছে এমন অর্ধপ্রকাশিত বা অনুচ্চারিত মৌলিকতার ধারণাকেই বেশী কামনা করে । শিল্পীরা, যারা কিনা শিল্পকর্মে নতুন কিছু সৃষ্টি করেন (তা হতে পারে, একটা অংকন কৌশল বা একটা ধারণা বা একটা অনুশীলন প্রক্রিয়া) – বেশ কয়েক বছর ধরে সেইসব শিল্পকর্ম মৌলিকতার প্রশ্নে উত্তীর্ণ হলেই সংগ্রাহকরা তা সংগ্রহ করবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন, তার আগে নয়।  সংগ্রাহকরাই শিল্পকলার ইতিহাস সৃষ্টি করে থাকেন। তারাই এক দশক পরেও ঐসব শিল্পকর্মের মুখোমুখি হয়ে আবেগ ও বিস্ময়ে অভিভুত হন। বলা যায়, তারাই হলেন শিল্পকলার মুখ্য চরিত্র।

আসাদ আলম সিয়াম: কবি ও অনুবাদক।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank