ঢাকামুখী মানুষের স্রোত, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই
ঢাকামুখী মানুষের স্রোত, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিলের পর ছয় দিনে ঢাকা থেকে বাড়ি গেছেন প্রায় ৮৩ লাখ মানুষ। কিন্তু ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হতে চলায় ফেরার জন্য সময় আছে মাত্র একদিন। তাই সব ধরনের গণপরিবহনেই দেখা গেছে মানুষের স্রোত। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, দোয়াভাঙা, কালিয়াপাড়া বাস স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার যাত্রী। অনেকে ভোরে এসে বিকালের টিকেটও পাচ্ছেন না। বাসের তুলনায় যাত্রী অনেক বেশি হওয়া কীভাবে ঢাকায় ফিরবেন সেটাও বলতে পারছেন না অনেকে।
এদিকে সড়কে কোনরকম স্বাস্থবিধি মানা হচ্ছে না। রাস্তায় গাদগাদি করে দাঁড়িয়ে সবাই বাসের অপেক্ষা করছেন। অনেকের মুখে মাস্কও নেই। এছাড়া ফাঁকা রাখা হচ্ছে না কোন আসনই।
চাঁদপুর টু ঢাকা রুটে প্রধানত পদ্মা ও আল আরাফাহ পরিবহনের বাস চলে। প্রতি আধা ঘন্টা পর পর বাসগুলো স্টেশন ছেড়ে যায়। এছাড়া আছে হাজীগঞ্জ টু ঢাকার বিআরটিসি বাস। কিন্তু সে বাসের সংখ্যা মাত্র ৮টি। বাসগুলো ছাড়ে প্রতি আধা ঘন্টা পরপর।
কিন্তু যে পরিমাণ যাত্রী আছে সড়কে সে তুলনায় আরও অনেক বাস প্রয়োজন। তাই কেউ কেউ সিএনজি দিয়ে বা কুমিল্লাগামী ‘বোগদাদ এক্সপ্রেস’ ও ‘রিলাক্স’ বাস দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা কুমিল্লা গিয়ে বাস পাওয়ার আশায় ছুটছেন।
সরকারি চাকুরিজীবী সাজ্জাদ হোসেনের (৪২) সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, অনেকদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছি। আগেই জানতাম ফেরার সময় ভীড় হবে তাই ভোরে বাস স্টেশন চলে আসি। কিন্তু এখন ৯টা বাজলেও টিকেট ব্যবস্থা করতে পারিনি।
রাজধানীর মহাখালীতে একটি খাবাবারের দোকানে চাকরি করা শফিকুর রহমান বলেন, দুই ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন বাস পাইনি। এখন সিএনজি দিয়ে কুমিল্লা যাব ভাবছি। সেখান থেকে যেভাবেই পারি ফিরতে হবে। অন্যথা চাকরি থাকবে না।
সুজয় ঘোষ নামক এক যাত্রী জানান, চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ঢাকা যাওয়া যায়। তবে নদীপথে এত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকা যাচ্ছে যে শুনে ভয় হচ্ছে। তাই বাসে যাওয়ার চিন্তায় ছিলাম। তাই আগে টিকেট কেটেছি।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক সময়ে হাজীগঞ্জ থেকে ঢাকার ভাড়া ২০০ টাকা। এক আসন ফাঁকা রাখা নিয়মে সে ভাড়া হয় ৩৫০ টাকা। এখন আসন ফাঁকা রাখাও হচ্ছে না কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ পদ্মা কাউন্টারের টিকেট কাটায় নিয়োজিত থাকা সজিব হোসেন বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই সব কিছু করতে চেয়েছি। কিন্তু যাত্রী এত বেশি যে সামলাতে পারছিনা। যাত্রীরাও অভিযোগ করছে না। এছাড়া আমরাও দীর্ঘদিন কোন আয় করতে পারিনি। নিজেদেরও তো পেট চালাতে হবে।
উল্লেখ্য, ৮৩ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ার তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ছেড়ে যাওয়া সিমের হিসেব করে এই তথ্য এসেছে। এই ক’দিনে ঢাকা ছেড়েছে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২টি সিম।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`