সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত
![]() |
ফাইল ছবি |
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে এ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শফিক রেহমান এবং মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া ওরফে এম আর ভূইয়া ওরফে মিল্টন ভূইয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর ধারা ৪০১(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-২, ঢাকা এর পল্টন মডেল থানার মামলা নম্বর-১ (৮) ২০১৫, জিআর মামলা নম্বর-২৯৪/১৫-এ তাদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এদিকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে একত্রিত হন। এ সময় আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকলে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান। দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, এই আমলে আমার কারাগারে থাকতে আপত্তি নেই। হ্যাঁ, আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি এখনও আমার আছে।

আরও পড়ুন
- মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া
- গুমের ক্ষেত্রে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা হত্যাকারী বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে: প্রেস সচিব
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- ১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায়
- স্বর্ণের দাম আবার কমলো
- অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত - কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রোববার
- টানা ২য়বারের মত ‘৫ম এমারজিং এশিয়া ইনসিওরেন্স এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- মেট্রোরেলের ৪ স্টেশন বন্ধ
- ছারছীনা দরবার শরীফের পীরের মৃত্যু