শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৭:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০২১

৩৭৩

হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, স্বাধীনতা বিরোধীরা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে দেশের সব অর্জন ম্লান করে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে '৫০ বছরের অর্জন ভবিষ্যৎ করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, যোগাযোগসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মুসলিম-হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে কাজ করছে বলেই দেশ আজ বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু দেশের শত্রুরা এই ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। কোনভাবেই এই অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তখন তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা শুরু করেছে। মন্দিরে কোরআন শরীফ রেখে নাটক সাজিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। দাঙ্গা লাগিয়ে অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের মদদ পুষ্ট ও প্রেতাত্মারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার দু:স্বপ্ন দেখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ তাদেরকে উচ্ছিষ্ট হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। গুন্ডা, সন্ত্রাস দিয়ে মাঠে নামার যখন কোনো অবস্থা নেই তখন তারা ধর্মকে ব্যবহার করে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। যে কৌশল পাকিস্তানিরা স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করেছিলো।

মন্দিরে কি করে কোরআন শরীফ গেল! কারা রেখেছে, কারা ভিডিও করে সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে, পুলিশকে টেলিফোনে কে জানিয়েছে এসব প্রশ্ন উত্থাপন করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে উন্মোচন করা হবে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

দেশের ৯৮ ভাগ এবং বস্তি এলাকা ৭০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন হয়েছে। এসডিজি-২০৩০ এবং ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা সামনে রেখে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি আরো জানান, দেশের ভবিষ্যৎ পানির চাহিদা পূরণে ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ট্রান্স-বাউন্ডারি ওয়াটার গ্রিড লাইন নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে খালগুলো ওয়াসার নিকট থেকে সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই দুই মেয়র চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। অসংখ্য খাল ইতোমধ্যে দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। দুই সিটি মেয়রের মাধ্যমে ঢাকার পরিবর্তন আনা সম্ভব।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত