তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক আইনগুলো সংশোধন জরুরি
তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক আইনগুলো সংশোধন জরুরি
ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক বিরোধী কর্মসূচি |
তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ক্যান্সারসহ দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল নানা ধরনের রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে কিছু আইন ও নীতিতে তামাক সম্প্রসারণে সহায়ক ধারা বিদ্যমান রয়েছে। এসকল ধারার সুবিধা নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো নানা কৌশলে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইনগুলো সংশোধনের মাধ্যমে দেশে বহুলাংশে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইনগুলো সংশোধন করা হোক” শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তরা এ মন্তব্য করেন।
অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা
- দি কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস এ্যাক্ট-১৯৫৬,
- কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮,
- স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত কয়েকটি বিধিমালাসহ
তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিদ্যমান আইনসমূহের বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তনের পাশাপাশি এফসিটিসি এর আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রণয়নের দাবি জানান।
পাশাপাশি তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার এবং প্রতিনিধিত্ব প্রত্যাহার, তামাক কোম্পানি আয়োজিত কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিষিদ্ধ করা, শ্রেষ্ঠ করদাতা, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান, বৃক্ষ রোপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার প্রদান থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
কর্মসূচিতে এইড ফাউন্ডেশন, নাটাব, ডাস, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, সুজন এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোসাল একশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো.নাজমুল হায়দার, ট্যোবাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল এর গবেষক সহকারি মহিউদ্দিন রাসেল, তরুণ তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী আবু রায়হান, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এর পলিসি অফিসার আ.ন.ম মাসুম বিল্লাহ, ডাব্লিউবিবি ট্রস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বৃত্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য হুমায়ারা তাবাসসুম, হিল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেবুন্নেসা চৌধুরী, স্টপ এমিশান নাও সমন্বয়ক সামিউল হাসান এবং সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর নেটওয়ার্ক অফিসার শুভ কর্মকার।
হেলাল আহমেদ বলেন, জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান কিছু আইন ও নীতিতে তামাক সম্প্রসারণে সহায়ক ধারা বিদ্যমান রয়ে গেছে। এসকল ধারার সুবিধা নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো নানান কৌশলে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। জনস্বাস্থ্য বিষয়কনীতি সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা বিদ্যমান আইন ও নীতিসমূহ যুগোপযোগী করা জরুরি।
মো.নাজমুল হায়দার জানান, তামাকের ব্যবহার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হলেও রাষ্ট্রপতির (পারিশ্রমিক ও অধিকার) আইন, ১৯৭৫ এ রাষ্ট্রপতির বাড়ির সদস্য বা তার অতিথিগণ কর্তৃক গৃহিত হলে কোন দেশি তামাকের উপর আবগারি শুল্ক আদায় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপ্রধানের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সুরক্ষা তথা সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় সিগারেটের মতো ক্ষতিকর ও স্বাস্থ্যহানীকর দ্রব্য শুল্কবিহীন প্রদানের বিধান বাতিল করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন নাজমুল হায়দার।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`