শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বন্ধ রাখার তালিকায় বাংলাদেশ ৩য়, স্কুল খুলে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টাও বাদ নয়: বিশ্ব নেতাদের ইউনিসেফ

বিশেষ সংবাদদাতা

১৯:৩৬, ৩ মার্চ ২০২১

আপডেট: ২০:২৮, ৩ মার্চ ২০২১

৬৭৭

বন্ধ রাখার তালিকায় বাংলাদেশ ৩য়, স্কুল খুলে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টাও বাদ নয়: বিশ্ব নেতাদের ইউনিসেফ

জাতিসংঘ সদরদফতরের সামনে ইউনিসেফের প্রতীকী খোলা স্কুল
জাতিসংঘ সদরদফতরের সামনে ইউনিসেফের প্রতীকী খোলা স্কুল

টুইটারে ঘুরছে একটি ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে খোলা মাঠে বসানো হয়েছে ১৬৮টি স্কুল ডেস্ক। যা শুণ্য পড়ে আছে। কিন্তু চেয়ারের পেছনে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ১৬৮টি ব্যাকপ্যাক। সামনে একটি ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা রয়েছে শ্রেণি হাজিরা। অনুপস্থিত ১৬৮ মিলিয়ন শিশু। ছবিটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক জরুরি তহবিল- ইউনিসেফ। ক্যাপশনে লিখেছে- ১৬৮টি শুণ্য ডেস্ক। ১৬৮টি ব্যাকপ্যাক। ১৬৮ মিলিয়ন শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় এক বছর স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। এই প্যানডেমিক ক্লাসরুম ইনস্টলেশনটি বিশ্বের সকল নেতাদের জন্য এক বার্তা। স্কুলগুলো ফের খুলে দেওয়ার জন্য একটি প্রচেষ্টাও যেনো বাদ না পড়ে।

৩ মার্চ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে প্রকাশের পর তাতে হাজার হাজার লাইক পড়েছে। শত শত রিটুইট হয়েছে। পড়েছে অনেক মন্তব্য।

এদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। তিনি তার টুইটে ইউনিসেফকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, কোভিডের কারণে শিশুরা স্কুলের বাইরে এটা সামনে আনা হয়েছে। সকল শিশুকে অবশ্যই তাদের স্কুলে ফিরতে হবে। কোভিড থেকে উত্তরণেরে জন্য শিশুদের স্কুলে পাঠানোই হতে হবে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে হবে। আর একটি শিশুও যেনো বাদ না পড়ে।



ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যমতে, বিশ্বের ২১৪ মিলিয়ন, প্রতি ৭টি শিশুর মধ্যে ১টি গত ৯ মাস স্কুলে বসে পাঠ নিতে পারে নি। 

বিশ্বের ১৪টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণে দেখো গেছে তাদের দেশে ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থেকেছে। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৯৮ মিলিয়ন স্কুলশিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
স্কুল বন্ধ রাখার তালিকায় সবচেয়ে বেশি দিনের হিসেবে শীর্ষে রয়েছে পানামা। এই তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। দ্বিতীয় এলসালভেদর। আর চতূর্থ বলিভিয়া।

আমরা কোভিড-১৯ মহামারির এক বছর অতিক্রান্ত করতে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে শিশুদের শিক্ষা যে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর‌্যস্ত তা আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। স্কুলে না আসতে পারা শিশুদের জন্য একেকটি দিন, তাদের আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। আর সবচেয়ে যারা প্রান্তিকে তারা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছে। 
                                            -     হেনরিয়েটা ফোর, নির্বাহী পরিচালক, ইউনিসেফ

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত