রোববার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ || ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশের আশিকের বিশ্ব রেকর্ড

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

২৩:২৭, ২৬ মে ২০২৪

বাংলাদেশের আশিকের বিশ্ব রেকর্ড

দেশের পতাকা সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বাংলাদেশি যুবক আশিক চৌধুরী। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দিয়ে তিনি গড়লেন অনন্য এক বিশ্ব রেকর্ড। 

যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে শনিবার রাত ৯টার দিকে নামেন তিনি। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখালেন। 

আশিকের বাবা সিভিল এভিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম হারুন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ছেলের এই সফলতায় গর্বিত তিনি। আশিকের দুঃসাহসী এই যাত্রায় স্পন্সর করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউনি)। বিশ্বে যারা এ ধরনের কাজ করে থাকেন, তাদেরকে স্কাইডাইভার বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে এ ব্যাপারে আশিক চৌধুরী বলেন, সাধারণত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে।

এর ওপরে উঠতে বিশেষায়িত বিমান দরকার। সঙ্গে অনুক‚ল আবহাওয়াও জরুরি। যা যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফিল্ডের আকাশে পাওয়া যায়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি স্কাইডাইভিং করবেন। তিনি আরও বলেন, আকাশ থেকে লাফ দিয়ে নিচে নামার সময় এক ধরনের স্বাধীনতা ও রোমাঞ্চকর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এই রোমাঞ্চকর অনুভূতি আমাকে সবসময় নিজের সীমাবদ্ধতাকে জয় করে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। ৪১ হাজার ফুট থেকে লাফ দেওয়া বেশ কঠিন। কারণ নানা প্রতিক‚লতা পেরিয়ে মাটির দিকে অগ্রসর হতে হবে। তিনি বলেন, এর আগে বিশ্বের অন্য দু’একজন এর চেয়ে বেশি উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছেন। কিন্তু দেশের পতাকা নিয়ে কেউ এই চেষ্টা করেননি। 

প্রসঙ্গত, ৪০ বছর বয়সি স্কাইডাইভার আশিক একজন ব্যাংকার। যশোরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আশিকের মাথায় স্কাইডাইভিংয়ের স্বপ্ন আসে মূলত পাইলট বাবার কাছ থেকে। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫০ বার আকাশ থেকে লাফ দিয়েছেন। 

মা মাহমুদা পারভীন তাকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আশিকের মামা ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার। মামার কাছ থেকে দুঃসাহসী কাজ করার প্রেরণা পান বলে জানান আশিক। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank