সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫ || ২৬ কার্তিক ১৪৩২ || ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডিএনএ পরীক্ষার পরই হস্তান্তর হবে ওই সাংবাদিকের মরদেহ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

১৮:৪০, ২ মার্চ ২০২৪

ডিএনএ পরীক্ষার পরই হস্তান্তর হবে ওই সাংবাদিকের মরদেহ

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির (২৬) পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার (২ মার্চ) রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিহতের পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তার জাতীয় পরিচয় পত্রে পেয়েছি বৃষ্টি খাতুন এবং আমরা জানতে পেরেছি তার অন্য একটি নাম আছে, সেটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এ কারণে আমরা তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। তবে তার পরিবারের কাছে এখন পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে পারিনি। তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে এখনই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মর্গ কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা।

বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী।

শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের একজন। তার দাবি, মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি।

শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ের আসল নাম নয়। আমার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলব? দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো।

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার মরদেহটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিম্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank