অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ৬ প্রস্তাব
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ৬ প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকার্যকর হওয়া জীবাণুনাশক ওষুধ কার্যকরভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের বেপরোয়া ও নির্বিচার ব্যবহার কমিয়ে আনতে অবিলম্বে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের উদ্বোধনী সভায় দেয়া রেকর্ড করা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবেলার ছয়টি প্রস্তাব রেখেছেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-আইনের কঠোর বাস্তবায়ন,প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল পণ্য বিক্রয় বন্ধ করা এবং এএমআর সংক্রান্ত গবেষণা জোরদার করা।
শেখ হাসিনা বলেন,এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতি কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এক মহা সংকট মোকাবিলা করছে। নীরবে বেড়ে ওঠা জীবাণুনাশক ওষুধের এমন অকার্যকারিতা আধুনিক ওষুধের উল্লেখযোগ্য সকল অগ্রগতিকে বিপন্ন করতে পারে।
তিনি বলেন,'এই মুহূর্তে আমরা যদি অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ও নির্বিচার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে আমরা ভবিষ্যতে আরও ঘন ঘন এবং আরও মারাত্মক মহামারি দেখতে পাব। বিশ্ব সম্প্রদায় অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও),খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ওআইই সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে এই সভার আয়োজন করেছে। বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি,ডাব্লিউএইচও,এফএও এবং ওআইই’র মহা পরিচালকরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহসভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন,১৯৯৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ রেজুলেশনে জীবাণুনাশকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সত্ত্বেও, আমরা এই হুমকি রোধে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবার পথে অনেক দূরে রয়ে গেছি। তাই,আমাদের মানব স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও কৃষি খাতে অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল এজেন্টগুলোর যৌক্তিক ব্যবহার বৃদ্ধি ও তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য বিপর্যয় রোধ করতে আমি অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল এজেন্ট উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোরভাবে আইন ও বিধি প্রয়োগের পরামর্শ দিতে চাই। দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানব, মৎস্য ও প্রাণীর জন্য ব্যাপকভাবে পরীক্ষাগার ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা দরকার। তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, অনুমোদিত ব্যক্তির প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল পণ্য বিক্রয় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী তার চতুর্থ প্রস্তাবে এএমআর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দসহ মৌলিক, পরীক্ষামূলক এবং পরিচালনামূলক গবেষণা জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন। তার পঞ্চম পরামর্শে, তিনি অ্যান্টি-মাইক্রোবাইয়াল পণ্যের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি, যোগাযোগ এবং সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছেন।
ষষ্ঠ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, নীতিসমূহের কঠোর বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক নেতাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ এবং এফএও, ওআইই, ডাব্লিউএইচও, জাতিসংঘ পরিবেশ সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`