শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ || ১৮ মুহররম ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

১১:১১, ১২ নভেম্বর ২০২৩

৪১৮

বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মিরপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা। কয়েকশ শ্রমিক রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার সড়কে শ্রমিকদের এমন উপস্থিতি দেখা গেছে।

মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে সকাল সোয়া আটটার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক রাস্তা অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা বেতন দাবির মুখে গত সাত নভেম্বর ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। তবে শ্রমিকরা তা মেনে না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।  

এরপর আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নতুন বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের যে আন্দোলন চলছে, তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার পোশাকশিল্প মালিকদের এক সমন্বয় সভায় সব কারখানায় নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখা, কারখানায় ভাঙচুর হলে প্রয়োজনে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র বলছে, কিছু শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে শ্রমিকেরা কাজে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এমনকি গত ১৫ দিন মাঠে আন্দোলনে ছিলেন এমন শ্রমিকরাই বলছে, কিছু বাম শ্রমিক সংগঠন তাদের বলেছে মালিকের ২৫ হাজার টাকা দেয়ার সামর্থ থাকলেও দিচ্ছে না। ২৫ হাজার না দিলে কাজে যোগ দিতে নিষেধও করছেন তারা।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান শ্রমিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। সরকারের বেঁধে দেয়া নূন্যতম মুজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা মেনে নিয়ে বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক কাজে ফিরলেও, কতিপয় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে সহিংস আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন আন্দোলন চলতে থাকলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার অবকাশ রয়েছে।

আন্দোলনের বাইরে থাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা শুরুর দিকে বেতন বাড়ানোর আন্দোলনে যুক্ত হলেও পরে আর যোগ দেননি। নতুন বেতন স্কেল ঘোষণার পরে কাজে ফিরে গেছে বেশিরভাগ। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের রাস্তায় থাকতে উদ্বুদ্ধ ককরছে। সেটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। যুগ যুগ ধরে শ্রমিকদের নিয়ে সংগঠনগুলো এ রকমই করে আসছে।

কারখানা মালিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি দাবি করেন, গত ৪০ বছরে ৬৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ’র সদস্যপদ গ্রহণ করলেও, ৩৯৬৪টি সদস্যের কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২৯২১টি সদস্য কারখানার মধ্যে ২৩৩৯টি কারখানা বিজিএমইএতে তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেছে। এই ২৩৩৯টি সদস্য কারখানার মধ্যে মাত্র ১৬০০টি সদস্য কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার এনে কাজ করছে।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত