যুক্তরাষ্ট্র-ভারতসহ ৪ রাষ্ট্রদূতের বাড়তি পুলিশী নিরাপত্তা প্রত্যাহার
যুক্তরাষ্ট্র-ভারতসহ ৪ রাষ্ট্রদূতের বাড়তি পুলিশী নিরাপত্তা প্রত্যাহার
![]() |
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ ঢাকায় নিযুক্ত চার রাষ্ট্রদূতের বাড়তি পুলিশী নিরাপত্তা (এসকর্ট) প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য দুই দেশ হলো যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, পৃথিবীর কোনো দেশই বিদেশী কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেয় না। আমরা তিন-চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে আগে থেকেই অতিরিক্ত পুলিশী নিরাপত্তা দিয়ে আসছি। সম্প্রতি অন্তত আরও ১২ থেকে ১৫ টি দেশের রাষ্ট্রদূত বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছে। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই সবাইকে সমানভাবে নিরাপত্তা দেয়া হবে। এজন্য চারজন রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও জানান, বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাড়া ভিত্তিতে বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারবে। সরকার এ ক্ষেত্রে বাধা দেবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসমিন সাইকা পাশা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই চারটি রাষ্ট্রের পুলিশ এসকট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কূটনৈতিক এলাকা থেকে তারা কোথাও যেতে চাইলে এতদিন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হতো তাদের।
হঠাৎ তাদের এসকট সুবিধা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, ঢাকায় কূটনৈতিক জোনে ৫৩টি দেশ রয়েছে। প্রতিটি দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখভাল করতে হয়। এতে অনেক ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এর বাইরে কোন বিশেষ দেশের জন্য আলাদা করে ফোর্স দেওয়ার মত বাড়তি পুলিশ নেই।
পুলিশ জানায়, এতদিন চারটি দেশের কূটনৈতিকরা কোথাও যেতে চাইলে (কূটনৈতিক এলাকা থেকে) তাদের এসকর্টে বাড়তি ফোর্স বা পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হতো। এর কারণে অন্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর জন্য অনেক প্রস্তুতিও নিতে হয়। তাই এখন থেকে সব রাষ্ট্রকে একইভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। এখন থেকে ঢাকায় বাড়তি প্রটোকল সুবিধা পাবেন না তারা।
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘এখন থেকে আর কেউ বাড়তি এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। সবাইকে এক লেভেলে আনা হয়েছে।’
এদিকে এই নিয়ে গতকাল কূটনীতিকপাড়ায় নানামুখী আলোচনা চলছে। অনেকে এটা নিয়ে নানান ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে গুলশান কূটনৈতিক বিভাগের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে এত আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ কূটনৈতিক বিভাগের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতই আছে। শুধু চারটি দিশের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি পুলিশ এসকট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে পুলিশের দুই বিভাগ থেকে ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেয়া হয়। একটি হলো পুলিশের প্রটেকশন টিম। আরেকটি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এছাড়া বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তায় আছে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ পুলিশ। রাষ্ট্রপতির জন্য আছে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট। আর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। এরসঙ্গে পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার টিমও কাজ করে। পুলিশের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নও এই নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`