অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইভ্যালির এমডি-চেয়ারম্যানের প্রতারণা মামলা: আদালতে শুনানি বৃত্তান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ০৪:০৯ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার

শুনানি শেষে আদালত রাসেল ও শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন

শুনানি শেষে আদালত রাসেল ও শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন

অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলোচিত ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশের উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত রাসেল ও শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

**৩ দিনের রিমান্ডে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডি

**ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

**আদালতে নেওয়া হয়েছে ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডিকে

**ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল এমডি রাসেলের

**ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিন গ্রেফতার

আসামিপক্ষের শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মনিরুজ্জামান আসাদ ও আইনজীবী জে আর খান রবিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।

আসামি পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য-

আসামি পক্ষে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তার যুক্তি ছিল, আসামিরা কারো সঙ্গে প্রতারনা করেন নাই। তাদেরকে ভুল বুঝে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যবসাবাণিজ্য করতে গেলে মানুষের সঙ্গে লেনদেন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। 

ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ আরও বলেন, ষড়যন্ত্রমুলকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহকের অর্ডারের মালামাল অবশ্যই পরিশোধ করা হবে কিন্তু দেরি হওয়ার কারণ দেখিয়ে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আটক রাখাটা তো সমাধান নয়। তাই আসামিদের যে কোনো স্বার্থে জামিন দেয়া হোক বলে আদালতকে তিনি বলেন।

এই আইনজীবী শুনানিতে আরও বলেন, এটা দন্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ এই ধারাতে আসামিদের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা করা যায় না।

তিরি আরও জানান, ৪৫ দিনের দিনের সময় নিয়ে মালামাল পৌঁছে দেয়ার শর্তে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই প্রতিষ্ঠান পণ্য পাঠানোর অর্ডার নেওয়া হয়। এরপর গ্রাহককে মালামাল পৌঁছে দেওয়া হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য-

রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে এবং জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। শুনানিতে তিনি বলেন আসামিরা হাজার হাজার গ্রাহকদের সঙ্গে ই-কমার্স ভিত্তিক ব্যবসার নামে প্রতারণা করেছেন। তারা যথাসময় গ্রাহকদের মালামাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার এই নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা করেছেন।

তিনি আরো বলেন তারা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই ব্যবসা করছেন। এই ঘটনার পিছনে আরো কারা আছে তা জানা দরকার।

মামলা-

গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের জন্য গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ওশামীমা নাসরিনকে আদালতে আনা হয়। 

গত ১৬ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন। মামলা থেকে জানা যায়, গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন আরিফ বাকের । এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা পাননি।