বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ || ৪ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৪:৩৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৫:৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

৫৫১

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

আদালতে ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ
আদালতে ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এজন্য আদালতে তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। 

**আদালতে নেওয়া হয়েছে ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডিকে

**ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল এমডি রাসেলের

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টার দিকে এই দুইজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে। গুলশান থাানর সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের জন্য গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ওশামীমা নাসরিনকে আদালতে আনা হয়। 

গত ১৬ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন। মামলা থেকে জানা যায়, গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন আরিফ বাকের । এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা পাননি।

এমনকি কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়েও এর সমাধান পাননি আরিফ। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বললে তারা সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেনি। এমনকি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তাব্যক্তির সঙ্গেও কেউ দেখা করতে দেয়নি। বারবার এ চেষ্টা করা হলেও ইভ্যালির পক্ষ থেকে খারাপ ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে।

এর আগে, একইদিনে কুর্মিটোলায় সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলোচিত ও বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা দিনকে দিন বাড়ছিল। এমন বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল একে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায় ট্রান্সফার’ এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হতো, দায় ততো বাড়ত। গ্রেফতার রাসেল জেনেশুনে এ নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন বলে র্যা বের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সম্পত্তি স্থাপনা ও যন্ত্রপাতির মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।  তবে প্রতিষ্ঠানটির দায় ৫৪৩ কোটি টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাযব।

বেশ কিছিুদিন ধরেই আলোচনায় দেশের বিতর্কিত এই ই কমার্স সাইটটি। তাদের ব্যবসার পদ্ধতি নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণায়ল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির ব্যবসার পদ্ধতি নিয়ে তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত