অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ব্যাংকগুলোয় দিনভর উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

দিনভর ব্যাংকগুলোয় উপচে পড়া ভিড়

দিনভর ব্যাংকগুলোয় উপচে পড়া ভিড়

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ প্রতিরোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হচ্ছে আটদিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ। এই সময়ে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সে হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ছিল ব্যাংকের শেষ কার্যদিবস, লেনদেনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সকাল ১০টা থেকে তিনটা পর্যন্ত। তাই দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে ছিল গ্রাহকের লম্বা লাইন। 

**মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন চলবে ১০টা-৩টা

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য গ্রাহকের চাপ ছিল মাত্রাতিরিক্ত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে বলে বাইরে গ্রাহকের লাইনটা বড় হয়ে যায়। 

বেশির ভাগ গ্রাহককেই ঘন্টাখানেকের ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে উপচে পরা ভিড় তৈরি হয়।

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর নিধেষাজ্ঞা শুরুর আগে চাপ বাড়তে পারে, এ কারণে গতকাল সোমবার রাতে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কর্মকর্তারা যেন তাদের প্রাসঙ্গিক কাজ শেষ করতে পারে সে জন্য শাখাগুলো এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এদিকে এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি টাকা করা যায়। 

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে চলাচলে ও কাজে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। ওই বিধিনিষেধ অনুযায়ী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। গতকাল ব্যাংক চলে বেলা একটা পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের জারি করা কঠোর সর্বাত্মক বিধিনিষেধের আওতায় সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেওয়া ব্যাংকের সব উপ-শাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকছে। 

তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সময়ে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) নির্দিষ্ট দিনের জন্য খোলা রাখা যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যাংক খোলা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেবে না।