অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল দাবির আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৭:০৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করে উঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরাও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

**চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ

দুপুর থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নামে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ’ নামের একটি সংগঠন। ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে তৈরি হয় তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা। 

সন্ধ্যা ছয়টর দিকে, পুলিশ তাদের উঠে যেতে বললে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করলে এবং লাঠিচার্জ করলে আন্দোলনকারীরাও ইট পাটকেল ছোড়ে। মিনিট বিশেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, লাগাতার কর্মসূচি চলবে শাহবাগ মোড়ে। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে, সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাশ, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি দখলমুক্ত করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ বরাদ্দ ছিল।
ওই পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পরে আন্দোলনে নামে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেয় সরকার।

কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করে পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা কমিটি করে। পরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।