অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধনেপাতার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার  

ধনেপাতা খুবই পরিচিত একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। তবে ধনেপাতাকে মুলত আমরা সালাদ এবং রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে থাকি। তবে শুধু স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর কাজেই এর গুণাগুণ শেষ হয়ে যায় না। এ পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি শাক জাতীয় খাবার। 

ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এছাড়া ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন কে-র জোগান দেয় এই পাতা। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং যে কোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। 

অনেকেই আমরা ধনেপাতার উপকারিতা না জেনেই নিয়মিত বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করে আসছি। চলুন আজ জেনে নেই ধনেপাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

-ধনেপাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়।

-হজমে উপকারী, ধনেপাতা শরীর ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ধনেপাতা পেট ফাঁপা ও পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। ধনেপাতা ক্ষুধা বৃদ্ধি করে থাকে এবং বায়ুনাশক।

-ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যে ধনেপাতা বিশেষ উপকারী। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।

-ত্বক ও চুলের ক্ষয়রোধ করে ধনেপাতা। ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফসফরাস ও ক্লোরিন। তাই প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে ধনেপাতা দারুন ভূমিকা পালন করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে তাই ধনেপাতার উপকারিতা অনেক।

-দেহের কাটা-ছেঁড়া অংশগুলো দ্রুত শুকানোর জন্য খুবই উপকারি এই উপাদান। দেহের চুলকানি-পাঁচড়ায় ধনেপাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি ভলো হয়ে যায়।

 -ধনেপাতাই ভিটামিন-এ থাকে প্রচুর পরিমাণে। আর চোখের পুষ্টি জোগায় এই ভিটামিন-এ। যাদের রাতকানা রোগ আছে। তাদের জন্য ধনেপাতা অনেক উপকার।

-ধনেপাতার ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘এ’ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

-ধনেপাতা অত্যন্ত স্বাদময় সবজি। আর এই ধনেপাতা বেটে ভর্তা করে খেলে মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

-স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। ধনেপাতার ভিটামিন ‘কে’ অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

-এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং উপাদান, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।

সতর্কতাঃ

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধনেপাতা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। চোখের দৃষ্টি ক্ষতি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে সূর্যরশ্মির সংবেদনশীলতা বা সানলাইট সেনসিটিভিটি দেখা দিতে পারে এবং অত্যাধিক মাত্রায় খাওয়া হোলে সানবার্ন হতে পারে। অবশ্য আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণে ধনেপাতা সেবন করি তা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। অতিমাত্রায় রস সেবন করলেই ক্ষতির কারণ হয়।