অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ছাদের গেট ছিল বন্ধ আর সিড়ির ল্যান্ডিংয়ে আগুন, মাঝে শ্রমিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ০৬:৩৬ পিএম, ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানা ভবনটির ছাদে ওঠার সিঁড়ি নেট দিয়ে বন্ধ ছিল। নেট থাকায় ছাদে উঠতে পারেননি শ্রমিকরা। যে কারণে আগুনে মৃত্যু বেড়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক অপারেশনস দেবাশীষ বর্ধন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

**রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ মৃতদেহ উদ্ধার, মর্গে লাশের সারি

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘ছাদের সিঁড়ি বন্ধ না থাকলে হাসেম ফুডসে অনেক প্রাণ বাঁচতো। চারতলার সিঁড়ির মুখ থেকেই ৪০টির বেশি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা যদি ছাদে উঠতে পারতেন, তাহলে তাদের প্রাণে বাঁচানো যেত।’

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিল ভয়াবহ আগুন। ফলে তারা নিচের দিকে আসতে পারছিলেন না। আবার তালাবদ্ধ থাকায় ছাদেও যেতে পারেননি নিহত শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, ওই কারখানায় কেমিক্যালসহ প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। প্লাস্টিক, ফয়েল, কাগজ, রেজিন, ঘিসহ তৈরি করা মালামালসহ বিভিন্ন পদার্থও ছিল। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে এবং বেগ পেতে হয়। তিনি বলেন, দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

দেবাশীষ বর্ধন জানান, আগুন নেভানোর পর আবার আগুন জ্বলে উঠছিল। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই কারখানার দুটি ফ্লোরের পাঁচ ও ছয়তলায় আগুন ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ড্যাম্পিংয়ের কাজ শেষে সেখানে আরও লাশ রয়েছে কি না, সেটি তল্লাশি চালানো হবে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার তৎপরতা চলছে, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামিম ব্যাপারী।