অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নতুন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনে ৩ নভোচারী পাঠালো চীন

সাই-টেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০১:৩৫ পিএম, ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

দেশটির প্রথম ও বিশ্বের দ্বিতীয় স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনে কাজ শুরু করতে তিনজন নভোচারী পাঠিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিবিসির খবরে এই তথ্য জানানো হয়। 

সে তিনজন নভোচারী হলেন- নি হাই হ্যাশেং, লিউ বোমিং এবং টাং হংবো। তিনজনই পৃথিবী থেকে ৩৮০ কিলোমিটার উপরে থাকা তিয়ানহে মডিউলে তিনমাস কাটাবেন। 

বৃহস্পতিবার তিনজনকে নিয়ে সফলভাবে কক্ষপথে যায় শেনজু-১২ নামের ক্যাপসুল রকেটটি। এর মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে প্রথম এবং ইতিহাসে দীর্ঘসময়ের জন্য মহাকাশে নভোচারী পাঠাচ্ছে চীন। 

চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশন তৈরি ও সেখানে নভোচারী পাঠানোকে মহাকাশে চীনের আধিপত্য বিস্তারে আরও এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। 

গত ছয় মাসে মহাকাশে চীনে বিম্ময়কর সব সাফল্য দেখিয়েছে। এসময় চ্যাং-৫ নামে একটি রকেটের সাহায্যে চাঁদ থেকে শিলা ও মাটি এনেছে চীন। এছাড়া প্রথমবারেই সফলভাবে লালগ্রহ মঙ্গলে ছয় চাকার রোভার ঝুরং অতরণ করিয়েছে দেশটি। সেখান থেকে সম্প্রতি সেলফিও পাঠিয়েছে ঝুরং। 

আরও পড়ুন- চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে ফিরলো চীনের চ্যাং-৫

নভোচারীরা আকাশে কী করবেন?

শেনজু-১২ মিশনে কমান্ডার নি হাই হ্যাশেং ও তার সহকর্মীদের কাজ হবে ২২.৫ টন ওজনের মহাকাশ স্টেশনকে কার্যকর করা। 

মহাকাশে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, "মহাশূন্যে আমাদের নতুন থাকার জায়গা স্থাপন এবং নতুন প্রযুক্তিগুলির পরীক্ষা করা দরকার। সুতরাং, মিশনটি কঠোর এবং চ্যালেঞ্জিং। আমি বিশ্বাস করি আমরা তিনজন মিলে একসাথে কাজটি পুরোপুরি এবং সঠিকভাবে করতে পারব। চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার  আত্মবিশ্বাস আমাদের রয়েছে। 

নাসার লেগেছে কয়েক যুগ, প্রথমবারেই সফল চীন

১৬.৬ মিটার দীর্ঘ ও ৪.২ মিটার প্রশস্ত তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশনের প্রথম মডিউলটি মহাকাশে পাঠানো হয় চলতি বছরের এপ্রিলে। যেটি যুক্তরাষ্ট্রম কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশের যৌথ মালিকানাধীন মহাকাশ স্টেশনের পর একমাত্র স্টেশন। 

এই মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের থাকার জন্য জায়গা, বৈজ্ঞানিক ল্যাব ও একটি হাবল-শ্রেণির দূরবিন থাকবে। 

মহাকাশে চীনের স্থানী স্টেশন সম্পর্কে যা জানা গেছে

বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থিত একমাত্র স্টেশন হলো 'আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন'। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, জাপান ও ইউরোপ যৌথভাবে এটি পরিচালনা করে। সেখান থেকে চীনকে বাদ দেয়া হয়েছে।

তারপর গত ২৯ এপ্রিল নতুন স্থায়ী মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য একটি মডিউল পাঠিয়েছে চীন।

মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক পর ২০০৩ সালে কাজ শুরু করে চীন। তবে এর মধ্যেই অনেক এগিয়ে গেছে দেশটি। 

  আরও পড়ুন- মঙ্গলগ্রহ থেকে সেলফি পাঠালো চীনের রোভার ঝুরং

এর আগে ট্রায়াল হিসে তিয়ানগং-১ ও তিয়ানগং-২ নামে দুটি অস্থায়ী স্পেশ স্টেশন পাঠায় চীন। যেগুলোতে মাত্র কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করতে পারতেন নভোচারীরা। 

তবে ৬৬ টনের নতুন স্টেশনটি মাল্টি-মডিউলের। আশা করা যাচ্ছে অন্তত ১০ বছর তা ব্যবহার করা যাবে এবং সেখানে নভোচারীরা স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে পারবেন দীর্ঘদিন। এটি ১৬.৬ মিটার লম্বা ও ৪.২ মিটার চওড়া। ২০২২ সালের মধ্যে আরও এমন ১০টি পাঠিয়ে স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।