বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো ৪০ লাখ, অর্ধেকই পাঁচ দেশে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো ৪০ লাখ, অর্ধেকই পাঁচ দেশে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করে |
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অন্যদিকে, সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৮২ লাখ।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় যে ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম ২০ লাখের মৃত্যু হয়েছে এক বছরের বেশি সময়ে। কিন্তু পরবর্তী ২০ লাখের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৬৬ দিনে।
সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এমন পাঁচটি দেশ হলো—যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও মেক্সিকো। বিশ্বে করোনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে এই পাঁচ দেশে। তবে বিশ্বে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি পেরু, হাঙ্গেরি, বসনিয়া, চেক রিপাবলিক ও জিব্রাল্টারে।
শুক্রবার (১৮ জুন) জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এসব তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-
এতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ৩৫ লাখ আট হাজার ৩৮৪ জন এবং মারা গেছেন ছয় লাখ ৯৩৩ জন।
ভারত-
আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯৭ লাখ ৩১৩ জন। মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৯০৩ জন।
ব্রাজিল-
মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৭৭ লাখ দুই হাজার ৬৩০ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ ৯৬ হাজার চার জন।
এ ছাড়াও, জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৪৪ কোটি তিন লাখ ৩১ হাজার ৬৪৯ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আট লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন।
পূর্ব ঘটনা-
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’। ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত