করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হচ্ছে না, দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৮ এপ্রিল
করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হচ্ছে না, দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৮ এপ্রিল
করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হচ্ছে না, দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৮ এপ্রিল |
করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেয়া বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে।
মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউজে সোমবার (৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। যদিও এর আগে গত ৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, মজুত সংকটের কারণে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হচ্ছে ৫ এপ্রিল সোমবার থেকে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকা দেয়া হচ্ছে এবং হবে। আমরা হয়ত যেভাবে শুরু করছিলাম সেভাবে দেব না। তবে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হবে না। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে।’
টিকার নতুন চালানের বিষয়ে ডিজি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বেক্সিমকো বলেছে সময়মতো আমাদের টিকা দিতে পারবে।’
লকডাউনের সময় বাড়বে কিনা- এমন প্রশ্নে ডিজি বলেন, ‘আগামীতে লকডাউন বাড়ানো হবে কি না তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, ‘লকডাউনের ফল পেতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইনগুলো মানতে হবে। আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে এই আইনগুলো না মানি, তাহলে জোর করে মানানো যাবে না। জীবন রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে।’
এর আগে সকাল ১০টার দিকে তিনি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে ৬০ বেডের করোনা ইউনিট উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তাতে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছে। সরকার ভারতের সিরাম থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ও দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমেই ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে। আর ২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপহার হিসেবে আরও ১২ লাখ টিকা নিয়ে আসেন।
সব মিলিয়ে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে ৫১ লাখ টিকা প্রয়োগ করায় সরকারের হাতে রয়েছে ৫২ লাখ ডোজ।
ফেব্রুয়ারিতে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় অন্য দেশে ভারতের টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে। এ বিষয়ে এখনও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি।
মার্চের চালান এখনও আসেনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছিল, মার্চে টিকার এ ঘাটতি পূরণ করে দেবে সিরাম। তবে এক মাসের বেশি সময় ধরে টিকার কোনো চালান পায়নি দেশ।
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত