শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সৌম্য-শামীম নৈপুণ্যে হারারেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক

২০:৫৩, ২৫ জুলাই ২০২১

আপডেট: ২০:৫৬, ২৫ জুলাই ২০২১

৭১৫

সৌম্য-শামীম নৈপুণ্যে হারারেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

অভিষেক ম্যাচেই ১৩ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে দিয়ে রেখেছিলেন আগমনী বার্তা। সে ম্যাচে টাইগারদের একমাত্র প্রাপ্তি হয়ে ছিল শামীম পাটোয়ারীর ইনিংসটিই। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শামিম নেভালেন আরোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ওভারপ্রতি যখন ১০ রানের বেশি করে দরকার তখন মাঠে নেমেও দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জিতিয়ে উঠেছেন চাঁদপুরের এই তরুণ।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে নিজেকে আলাদা করে মেলে ধরতে পারেননি শামীম। তবে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সুনাম ছড়িয়েছে তখনই। সাথে অফস্পিন করতে পারা ও দুর্দান্ত ফিল্ডিং তাকে দিয়েছে বাড়তি সুবিধা। প্রেসিডেন্ট কাপ বা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি সব জায়গায় ছিলেন উজ্জ্বল। ফলে ডাক পড়লো জাতীয় দলে। আর সুযোগ পেয়েই দলে জায়গা পাকা করার ব্যবস্থাও করে রাখলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

তার আগে অবশ্য জয়ের ভিত প্রস্তুত করে দিয়ে গেছেন সৌম্য সরকার। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন বটে, তবে ১৯৪ রানের পাহাড় তাড়ায় স্কোর টেনে নিয়ে গেছেন এই বাঁহাতি। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও পরে ঝড় তুলে শামিমদের কাজটা সহজ করেছেন সৌম্যই। ৯ চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬৮ রান। যা সিরিজে এই ওপেনারের দ্বিতীয় ফিফটি। 

২০ রানে নাঈম শেখ ফিরে যাওয়ার পর মাঠে আসে সাকিব আল হাসান। আগের দুই ম্যাচে পরে ব্যাট করলেও আজ তাকে দেয়া হয় প্রিয় পজিশন তিন নম্বরেই। দ্রুত রানও তুলছিলেন এই অলরাউন্ডার। লুক জঙওয়ের এক ওভারে দুই ছক্কা হাঁকানোর পর সে ওভারেই আরও রান যোগ করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৫ রান। 

সাকিব-সৌম্যের ৫০ রানের জুটির পর মাহমুউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। সৌম্যের বিচ্ছেদে সে জুটি ভাঙে দলীয় ১৩৩ রানে। পরে আফিফ হোসেন এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তান্ডব শুরু হতেই ফেরেন ৫ বলে ১৪ রান করে।

শামীম পাটোয়ারী যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৬ বলে ৪৪ রান। ওভারপ্রতি প্রায় ১১। কিন্তু ছয় চারে ১৫ বলে ৩১ করে সে টার্গেট মামুলি বানিয়ে ফেলেন শামিম। মাঝে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ম্যাচের ফলাফলে কোন পার্থক্য তৈরি করেনি। ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় টাইগাররা। 

এর আগে টস জিতে বোলিং নিয়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারদের তোপের মুখে পড়েন বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লের শেষ বলে মারুমানি ফিরলেও ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৬৩ রান। 

এরপরের ৫ ওভারে রান আসে আরও দ্রুত। চাকাভা আর মাধেভেরের জুটিতে মাত্র ৩১ বলে আসে ৫৯ রান। ১২২ রানে সৌম্য সরকার চাকাভাকে ফেরানোর পর মাধেভেরেকে সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। মাঝে সিকান্দার রাজার উইকেটও নেন সৌম্য। 

কিন্তু শেষ দিকে আবারও দ্রুত গতিতে রান তোলের টাইগারদের ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেন  রায়ান বার্ল ও ডিওন মায়ার্স। দুজনের ১৮ বলের জুটিতে আসে ২৯ রান। 

১৯৩ রান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ। তবে শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ৬৮ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার। 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার 
ম্যান অব দ্য সিরিজ: সৌম্য সরকার

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১৯৩-৫: মাধেভেরে ৫৪ (৩৬), চাকাভা ৪৮ (২২), রায়ান বার্ল ৩১ (১৫)। সৌম্য সরকার ১৯-২, সাকিব ২৪-১, শরিফুল ২৭-১।

বাংলাদেশ ১৯৪-৫: সৌম্য সরকার ৬৮ (৪৯), মাহমুদউল্লাহ ৩৪ (২৮), শামিম পাটোয়ারী ৩১* (১৫)। মুজারাবানি ২৭-২, লুক জঙওয়ে ৪২-২।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank